মায়ের কোলেই ফিরলো বিক্রি হওয়া সেই নবজাতক।

মায়ের কোলেই ফিরলো বিক্রি হওয়া সেই নবজাতক।
ডন প্রতিবেদক, চাঁদপুর : গণমাধ্যমের খবরে মায়ের কোলেই ফিরেলো বিক্রি হওয়া সেই নবজাতক। চাঁদপুরে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে না পেরে তামান্না বেগম নিজের নবজাতক সন্তানকে বিক্রি করে দেন। এমন ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে প্রশাসনের সহায়তায় শিশুটিকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল এলাকা থেকে ওই নবজাতক উদ্ধার করে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজী শরিফুল হাসান। জানা গেছে, চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বারোআনি গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকেন তামান্না বেগম (২৮)। গেলো ৫ বছর আগে পাশের হানির পাড় গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে আলমেরসঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেনে না নেওয়ায় ভাড়া বাসায় থাকতে শুরু করেন তাঁরা। এ দম্পতির ২ সন্তান রয়েছে। কিন্তু তৃতীয় সন্তানের ডেলিভারির সময় হয়ে এলে স্বামী টাকা জোগাড় করতে না পেরে চলে যান। কয়েকদিন বাসায়ও আসেন নি। বন্ধ করে রাখেন মোবাইল ফোনও। এরমধ্যেই তামান্না বেগমের প্রসব বেদনা উঠলে তাঁর মা ও স্বজনেরা মিলে ভর্তি করান স্থানীয় পালস এইড হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। প্রথমে তামান্না বেগমকে ঋণ করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তান জন্ম দিলেও শেষ পর্যন্ত হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে না পারায় নিজ সন্তানকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন তামান্না বেগম। তবে ছেলেকে বিক্রি করলেও মায়ের মন মানছিলো না। স্বামীও বাড়িতে ফিরে এসে সন্তানকে ফিরিয়ে নিতে চাপ প্রয়োগ করছিলেন। এ অবস্থায় সন্তানকে ফিরে পেতে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা চান। মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী শরিফুল হাসান বলেন- নবজাতকের মা ও নানি স্বীকার করেছেন, আর্থিক সমস্যার কারণে তাঁরা এক প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। ‘পরে বিষয়টি আমরা জানতে পারি।’ ‘রাতে (বৃহস্পতিবার : ৩ ফেব্রুয়ারি) ষাটনল এলাকা থেকে নবজাতককে উদ্ধার করে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিই।’