তথ্যমন্ত্রী : জিয়ার নাম ইতিহাসের পাতায় খুনী ও বিশ্বাসঘাতক হিসেবেই থাকবে

তথ্যমন্ত্রী : জিয়ার নাম ইতিহাসের পাতায় খুনী ও বিশ্বাসঘাতক হিসেবেই থাকবে
বাসস : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাসের পাতায় একজন খুনী ও বিশ্বাসঘাতক হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবে। ১৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ সন্তান শহীদ শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষে শুক্রবার (৮ অক্টোবর) রাজধানির শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। ড. হাছান বলেন, ‘কারবালার প্রান্তরেও শিশু ও নারীদের হত্যা করা হয় নি। কিন্তু ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট শিশু, নারী, অন্তঃসত্ত্বা নারীকেও হত্যা করা হয়েছে। শিশু শেখ রাসেলকেই শুধু নয়, ৪ বছরের শিশু সুকান্ত বাবু, ১২ বছরের বেবি সেরনিয়াবাত, ১৪ বছরের আরিফ সেরনিয়াবাত এবং অন্তঃসত্ত্বা আরজু মনিকেও ঘাতকেরা হত্যা করেছে। আসলে বঙ্গবন্ধুর ছায়াকেও খুনীরা ভয় পেতো।’ তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সেনাপ্রধান, উপপ্রধান বা যে কোনও সেনা অফিসারের দায়িত্ব নিজের জীবন বিপন্ন করে হলেও রাষ্ট্রপতিকে রক্ষা করতে ছুটে যাওয়া। আর জিয়াউর রহমানকে যখন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার খবর দেওয়া হয়, তখন সে বলেছিল, ‘সো হোয়াট, ভাইস প্রেসিডেন্ট ইজ দেয়ার’। অর্থাৎ সে আগে থেকেই জানতো। বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কর্নেল ফারুক-রশীদ বলেছে, তাদের কাছে হত্যা পরিকল্পনা শুনে জিয়া বলেছিল, ‘গো এহেড’। সে কারণে জিয়া শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যায় নয়, শেখ রাসেল হত্যায়ও যুক্ত।’ ‘জিয়া যে হাজার হাজার সেনাসদস্যকে হত্যা করেছে, তাঁদের পরিবারের সদস্যরা সম্প্রতি মিলিতভাবে জিয়ার বিচার চেয়েছে’ উল্লেখ করে ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্য কুশীলবদের বিচার এবং ক্ষমতা নিষ্কন্টক করতে জিয়া পরিচালিত হত্যাযজ্ঞের বিচারের জন্য কমিশন গঠন করা প্রয়োজন। জিয়াউর রহমানের মুখোশ তাতে আরও উন্মোচিত হবে এবং আজকে যারা তার দল করে, তারা সেদিন লজ্জিত হবে।’ ড. হাছান এ সময় শিশু-কিশোরদের দেশপ্রেম ও মূল্যবোধে উদ্দীপ্ত সৃষ্টিশীল প্রাণ হিসেবে বেড়ে ওঠায় পরিবারের শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বক্তৃতাশেষে তিনি শিশু-কিশোরদের চিত্রকর্মগুলো ঘুরে দেখেন। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহিদ উল্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যেরমধ্যে সংগঠনের উপদেষ্টা তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন এবং আলাউদ্দিন সাজু বক্তব্য দেন।