কাদের : নির্ধারিত ভাড়ার বেশি নিলে কঠোর ব্যবস্থা

ডন প্রতিবেদন : যাত্রীদের কাছ থেকে কোনোভাবেই যেনো নির্ধারিত ভাড়ার বেশি আদায় করা না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য পরিবহনমালিক-শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলে জনস্বার্থে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে। আজ সোমবার (৮ নভেম্বর) সকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবনে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এই হুঁশিয়ারি দেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, গ্যাস, অকটেন ও পেট্রোলচালিত যানবাহনের ক্ষেত্রে বর্ধিত ভাড়া প্রযোজ্য হবে না। টানা তিনদিন সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের পর ভাড়া বাড়িয়ে গতকাল রোববার বিকেলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন পরিবহনমালিকেরা। সারা দেশে দূরপাল্লার বাস-মিনিবাসের ভাড়া বেড়েছে গড়ে ২৭ শতাংশ। রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে বেড়েছে ২৮ শতাংশ। গতকাল বিকেলে পরিবহনমালিক নেতাদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) বাড়তি ভাড়া ঘোষণা করে। বিআরটিএ বলেছে, নতুন ভাড়ার হার গতকাল রাতেই সরকার প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানিয়েছে। আজ থেকে নতুন ভাড়া কার্যকর হবে। বাড়তি ভাড়া শুধু ডিজেলচালিত বাস-মিনিবাসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাসচালিত (সিএনজি) বাস-মিনিবাস পুরোনো ভাড়াতেই চলবে। বাড়তি ভাড়া ঘোষণার পর পরিবহনমালিক সমিতির নেতারা তাৎক্ষণিকভাবে ধর্মঘট প্রত্যাহারের কথা জানান। ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের ধর্মঘটের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট খাতের নেতাদের সঙ্গে বসে সমাধানের উদ্যোগ নিচ্ছেন বলে জানান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। বিএনপির নেতাদের বিভিন্ন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশে কোনো ভয়ংকর পরিস্থিতি নেই। জনস্বার্থে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, দুর্নীতিবাজ ও অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান কঠোর। জনগণের সম্পদ যারা লুণ্ঠন করে, তাদের বিরুদ্ধে স্বাভাবিকভাবেই সরকারের অবস্থান কঠোর বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি সম্পদ লুণ্ঠনকারীদের পক্ষ নিয়েছে বলেই এ ধরনের বক্তব্য দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ দেশে রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়নের অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে অগণতান্ত্রিক স্বৈর সরকার। তারাই রাজনীতিকে কলুষিত করেছে। এ দায় বিএনপি কখনো এড়াতে পারবে না। ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ককে হত্যা করে স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী ধারায় রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিল, সিপাহি জনতার বিপ্লবের নামে দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করেছিল, সময় এসেছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করার। সেতুমন্ত্রী বলেন, হাতের তালু দিয়ে বিএনপি আকাশ ঢাকতে চায়। কিন্তু সত্য প্রকাশিত হবেই। সত্যের বন্যা অপ্রতিরোধ্য। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ৩ থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত যেসব ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা ঘটেছে, তা জনসমক্ষে আনা হয়নি। বরং কারও কারও কৃত্রিম ইমেজ তৈরি করা হয়েছে। তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে এসব ঘটনা ও দায়ীদের মুখোশ উন্মোচন এখন সময়ের দাবি। নেতাকর্মীদের হয়রানি নিয়ে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পূজামণ্ডপে হামলা করেছে যারা, আগুন জ্বালিয়েছে যারা, যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চেয়েছে, বিএনপির ভাষায় তারা দেশপ্রেমিক। ওবায়দুল কাদের বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দেশপ্রেমিক কর্মী বলে বাঁচানোর চেষ্টা করছে বিএনপি। পূজামণ্ডপে যারা হামলা করেছে, ভিডিও ফুটেজ দেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।