মোমেন : জাতিসংঘ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর সশরীরে উপস্থিতি জলবায়ু প্রচারাভিযান জোরদার করবে

মোমেন : জাতিসংঘ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর সশরীরে উপস্থিতি জলবায়ু প্রচারাভিযান জোরদার করবে
ডন প্রতিবেদন : জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন (ইউএনজিএ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সশরীরে উপস্থিতি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের বিরুদ্ধে প্রচারণা জোরদারের পাশাপাশি ন্যায়সঙ্গতভাবে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন পাওয়ার দাবিকে গতিশীল করবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন দেশটির স্থানীয় সময় সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন ‘শেখ হাসিনা জনগণের কল্যাণের কথা বিবেচনা করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে সশরীরে নিউইয়র্ক এসেছেন। জনগণের কল্যাণে কোভিড-১৯, জলবায়ু পরিবর্তন এবং খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক ইস্যুগুলো তিনি তুলে ধরবেন।’ তিনি বলেন, সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর সশরীরে উপস্থিতি এসব বিষয়ের উপর বৈশ্বিক প্রচারণা জোরদার করবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে সাধারণ বিতর্কে বাংলাদেশের প্রধান ইস্যু হচ্ছে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি। আশা করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো ভূমিকা আদায়ে দৃঢ প্রচেষ্টা চালাবেন। শেখ হাসিনা ১৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক এসেছেন এবং ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে ভাষণ দিবেন। এদিন তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের যৌথভাবে আয়োজিত জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলনে ৩০টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানদের রুদ্বদ্বার বৈঠকে অংশ নেন। মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্যারিস চুক্তিতে ফিরে আসায় ২০২১ সাল জলবায়ু ইস্যুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বছর। ‘তা ছাড়া আগামি নভেম্বরে স্কটল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় জলবায়ু বিষয়ক কপ-২৬ সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বেশকিছু ভালো ফল আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।’ লোটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতেমা এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন। মোমেন বলেন, জনগণের কল্যাণে কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জন্য অব্যাহত প্রচারণা এবং জোরালো ভূমিকা রাখায় শেখ হাসিনা বিশ্বের সাহসী নেতার মর্যাদা অর্জন করেছেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মহামারি করোনাভাইরাসের ঝুঁকি উপেক্ষা করে ১৯ মাস পর নিউইয়র্কে প্রথম সরকারি সফরে এসেছেন। ঢাকা মনে করে, তাঁর সশরীরে উপস্থিতি বিশ্ব নেতৃবন্দের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা যাবে। মোমেন বলেন, শেখ হাসিনা করোনা মহামারিকালে ভার্চুয়ালি ১৫০০ আন্তর্জাতিক সভায় অংশ নিয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রতিধ্বনি করে বলেন, ‘প্রত্যেকটি দেশেরই কোনও ধরনের বৈষম্য ছাড়া করোনার ভ্যাকসিন পাওয়া উচিত।’ যদিও এখন পর্যন্ত সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত টিকা পাওয়া যাচ্ছে না।’ তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে সৌদি আরব, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, ইন্দোনেশিয়া, জাম্বিয়া, আসিয়ান, ওআইসি এবং বাংলাদেশের মতো অংশীদারদের অংশগ্রহণে জাতিসংঘে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।