ভোটের আগে পুরোনো সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ : জেলা প্রশাসকদের ওবায়দুল কাদের

ভোটের আগে পুরোনো সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ : জেলা প্রশাসকদের ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : নির্বাচনের পুরনো সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আর নতুন সড়ক নির্মাণ করা হবে না। জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে এ নির্দেশনা দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে চিহ্নিত নসিমন, করিমনের মতো অবৈধ গাড়ি বন্ধে অতীতে কঠোর হলেও ভোটের বছরে তিনি জেলা প্রশাসকদের পরামর্শ দিয়েছেন, তিন চাকার যানবাহনে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে তা যেনো গরিব মানুষের জীবিকা অর্জনে বাধা না হয়।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বুধবার (২৫ জানুয়ারি) ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে মন্ত্রণালয় ভিত্তিক অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব নির্দেশনা দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। 

পরে ব্রিফিংয়ে তিনি তা সাংবাদিকদের জানান। 

অধিবেশনে বিশেষ অতিথি ছিলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহেমদ। 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে অধিবেশনে সংশ্নিষ্ট সচিবেরা উপস্থিত ছিলেন।

ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডিসি সাহেবদের গুরুত্ব দিয়ে বলেছি, এখন আর নতুন রাস্তা করতে চাই না। বিদ্যমান রাস্তাগুলো আগামী নির্বাচনের আগে মেরামত করতে চাই। ব্যবহারযোগ্য করতে চাই। যেগুলো আছে, সেগুলো মেরামত, সংরক্ষণ করা প্রথম ও প্রধান কাজ।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এবার শৃঙ্খলায় নজর দিতে ডিসিদের বলা হয়েছে। শৃঙ্খলা না এলে সাফল্য ধরে রাখা যায় না। নির্বাচনের বছরে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ডিসিদের নির্দেশ দিয়েছেন কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, শৃঙ্খলা বলতে সবকিছুকেই বোঝায়।’

বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন, মহাসড়কে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ ইজিবাইক। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শহরে এবং মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি করে এসব গাড়ি। একটি ইজিবাইক দুর্ঘটনায় ১০/১২ জন মারা যায়। বড় দুর্ঘটনাতেও এতো মৃত্যু হয় না। ফলে দুর্ঘটনা কমলেও মৃত্যুর হার বেড়ে গেছে। মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, নসিমন-করিমন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’

তবে অননুমোদিত যানবাহনের ব্যাপারে অতীতের তুলনায় নমনীয় সুর ছিলো ওবায়দুল কাদেরের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘এসব বাহনের বিষয়ে নীতিমালা করতে সড়ক পরিবহন সচিবকে নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। গরীব মানুষের জীবন যেমন আছে, জীবিকাও আহরণ করতে হবে। তাঁদের জীবিকার চাকাটা বন্ধ করে দিতে পারি না। এগুলোকে নীতিমালার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব নীতিমালা করতে হবে।’

মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও তিন চাকার যান চলাচল প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘মোটরসাইকেল ঢাকা শহরে ৯৫ শতাংশই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কিন্তু মফস্বলে তিনজন নিয়ে, হেলমেট ছাড়া চলছে। এ বিষয়ে নজর দিতে ডিসিদের বলা হয়েছে।’

এদিকে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, রেলের অব্যবহৃত জমি কৃষি কাজের আওতায় আনতে জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। দেশের সব জেলা রেল সংযোগের আওতায় আসবে। 

রেলের প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণে ধীরগতি কাটাতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়েছেন রেলমন্ত্রী।