কমলাপুরে রনির অবস্থানের বিষয়ে খোঁজ নিতে বললেন আদালত।

কমলাপুরে রনির অবস্থানের বিষয়ে খোঁজ নিতে বললেন আদালত।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে কমলাপুর রেলস্টেশনে আন্দোলনরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনির অবস্থানের কারণ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার (২০ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে তাঁর বিষয়ে তথ্য জানানোর জন্য বলেন।

এদিন সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ বসার পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিকের কাছে রনির অবস্থানের কারণ জানতে চান। তখন মানিক বলেন, ‌‘আমরাও পত্রিকা ও বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি, রেলপথে টিকিটবাণিজ্য ও অনিয়ম নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন ওই ঢাবি শিক্ষার্থী।’

তখন আদালত বলেন, ‘ঘটনা কী, খোঁজ নেন। কমলাপুর রেলস্টেশনে একজন ছেলে দিনের পর দিন অবস্থান করছেন, পত্র-পত্রিকা, ফেসবুক, ইউটিউব সবখানে বিষয়টি ভাইরাল এবং আলোচনা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে দেখুন সমস্যা সমাধান করা যায় কি-না।’

উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই থেকে রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে ৬ দফা দাবিতে হাতে শিকল বাঁধা অবস্থায় কমলাপুর রেলস্টেশনে অবস্থান করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

আন্দোলনের কারণ জানতে চাইলে রনি জানান, গত ১৩ জুন বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট থেকে ঢাকা-রাজশাহী রুটের ট্রেনের আসন নিবন্ধনের চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা সংস্থা বিকাশ থেকে ভেরিফিকেশন কোড দিয়ে তাঁর পিন কোড ছাড়াই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়। কিন্তু ট্রেনের কোনও আসন পান নি, এমনকি কেনো টাকা নেওয়া হলো, তার কোনও রশিদও দেওয়া হয় নি। পরে কাউন্টারে গেলেও তাঁকে টিকিট দেওয়া হয় নি। পাশাপাশি তাঁর টিকিটের ন্যায় অন্য টিকিটগুলো কাউন্টার থেকে তখন দ্বিগুণ দামে বিক্রি করা হচ্ছিলো।

আর এই বিষয়সহ ৬ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন রনি। এই কর্মসূচির মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) তিনি রেলভবনে গিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন। তখন কর্তৃপক্ষ মাত্র ১টি দাবি মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।