নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলা কাগজ; কুমিল্লা : ঈদের পর আজ রোববার (১৫ মে) সকাল থেকে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার হাসানপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চার লেনের সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে। যাত্রীবাহী বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনের চার লেনের পরিবর্তে দুই লেনে চলাচল এবং চালকদের এলোপাতাড়ি চলাচলের কারণে সড়কে যানজট দেখা দেয়। উপজেলার সৈয়দপুর থেকে গৌরীপুর পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট ছড়িয়ে পড়ে। যানজটে আটকে থেকে গরমের মধ্যে দুর্ভোগ পোহান যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।
চাঁদপুরের মুন্সিরহাট থেকে আসা ঢাকাগামী জৈনপুরী পরিবহনের বাসের চালক আবদুল হক বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘ঈদের পর আজ থেকে সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে। চার লেনের যানবাহন দুই লেনে চলাচল করায় এবং অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস, ব্যক্তিগত গাড়ি, ট্রাক, দূরপাল্লার বাস ও ভিআইপিদের গাড়িগুলো লাইন ভেঙে আগে যাওয়ার চেষ্টা করায় যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে। তীব্র গরমের মধ্যে শহীদনগর এলাকায় আধা ঘণ্টার বেশি সময় আটকে আছি।’
ঢাকাগামী একটি অ্যাম্বুলেন্সের চালক বরকত হোসেন বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, দাউদকান্দির বারপাড়া থেকে শহীদনগর পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার মহাসড়ক অতিক্রম করতে স্বাভাবিকভাবে দুই থেকে তিন মিনিটের মতো সময় লাগে। সড়ক সংস্কারের কারণে যানজটে আটকা পড়ে দুই মিনিটের সড়ক অতিক্রম করতে আধা ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে।
ঢাকা থেকে কুমিল্লাগামী পণ্যবাহী একটি ট্রাকের চালক মোছলেম মিয়া বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, সড়কের সংস্কারকাজ যাত্রী ও চালকদের জন্য ভালো। কিন্তু যানবাহনের কিছু চালকদের প্রতিযোগিতার কারণে আগে যাওয়ার চেষ্টা করায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) কুমিল্লার উপবিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুস হোসেন বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, মহাসড়কের সংস্কারকাজের গুণগত মান ঠিক রাখতে সরেজমিনে নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তিনি।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল হক বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, সংস্কারকাজ চলাকালে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হাইওয়ে পুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।