প্রতিবেশি দেশগুলো থেকে ৯০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করবে সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : প্রতিবেশি দেশগুলো থেকে ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে সোমবার (৪ মার্চ) সচিবালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ভারতের একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। প্রতিবেশি দেশগুলো থেকে আমরা ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে চাই। নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া অনেক অগ্রসর হয়েছে। নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি আগামী মাসে স্বাক্ষর হতে পারে। জিএমআরের মাধ্যমে ৫ শ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত। নবায়ণযোগ্য জ্বালানি হতে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ও এগুচ্ছে।
নসরুল হামিদ আরও বলেন, মেঘালয়, ত্রিপুরা বা আসাম থেকে বিদ্যুৎ আমদানি ও রপ্তানি করার বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এইচ-এনার্জির মাধ্যমে এলএনজি/গ্যাস আমদানির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত। আমরা ভারতসহ প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে কানেকটিভিটি বাড়াতে চাই। এক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা প্রয়োজন। নেপাল থেকে বাংলাদেশে ডেডিকেটেড লাইন থাকলে পাওয়ার ট্রেড গতি পাবে। এতে ভারতও লাভবান হবে।
মন্ত্রী বলেন, সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে প্রতিমাসে উভয়পক্ষের সংশ্লিষ্টদের সভা করা অপরিহার্য। বায়ু ফুয়েল নিয়েও আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি। এলপিজির চাহিদা বাড়ছে এসব খাতে বাংলাদেশের বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা ভারতে কীভাবে কাজ করতে পারে এ বিষয়টিও সক্রিয় বিবেচনা করা যেতে পারে।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বাড়ছে। নেপাল থেকে বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ আমদানি চলমান। ভারতও নেপাল থেকে প্রায় ৬ শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করে।
এ সময় হাই ভোল্টেজ সঞ্চালন লাইন, নবায়ণযোগ্য জ্বালনি, বিদ্যুৎ আমদানি-রপ্তানি, আর-এলএনজি, জ্বালানি সক্ষমতা বৃদ্ধি, জ্বালানি দক্ষতা, ভবিষ্যৎ আঞ্চলিক কানেকটিভিটি ইত্যাদি নিয়ে প্রাণবন্ত আলোচনা হয়।