দুঃখজনক : সীতাকুণ্ডের আগুন ও বিস্ফোরণে আরও ১ ফায়ার ফাইটারের মৃত্যু।

দুঃখজনক : সীতাকুণ্ডের আগুন ও বিস্ফোরণে আরও ১ ফায়ার ফাইটারের মৃত্যু।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় গুরুতর আহত আরও এক ফায়ার ফাইটার মারা গেছেন। তাঁর নাম গাউসুল আজম।

রোববার (১২ জুন) ভোরে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে অগ্নিকাণ্ডে মারা গেলেন ১০ জন ফায়ার ফাইটার। এ নিয়ে সীতাকুণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪৬ জনে।

সকালে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. আইউব হোসেন বাঙলা কাগজ ও ডনকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের সদস্য গাউসুল আজম হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ (রোববার) ভোরে মারা গেছেন। তাঁর শরীরের ৭০ শতাংশ অংশ দগ্ধ ছিলো।’

তিনি জানান, গাউসুলের শ্বাসনালী পুড়ে গিয়েছিলো। চট্টগ্রাম থেকে হেলিপ্টারে করে ঘটনার পরদিন তাঁকেসহ ৭ জনকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। ওইদিনই তাঁকে ভর্তি করা হয় আইসিইউতে। পরবর্তিতে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে দেওয়া হয় লাইফ সাপোর্ট। মাঝে কিছুটা উন্নতি হলে লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়। কিন্তু সর্বশেষ তাঁর অবস্থার আবার অবনতি হলে তাঁকে আবারও লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

গাউসুলের ফুপাতো ভাই কোরবান আলী বাঙলা কাগজ ও ডনকে জানান, তাঁদের বাড়ি যশোরের মনিরামপুর উপজেলার খাইটুয়াডাঙা গ্রামে। ২০১৮ সালে ফায়ার ফাইটার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন গাউসুল আজম। মাত্র দুই বছর আগে বিয়ে করেছেন তিনি। সিয়াম নামে ৬ মাস বয়সী একটি ছেলে রয়েছে তাঁর। দুই ভাই-বোনের মধ্যে গাউসুল ছিলেন ছোট।

স্বজনেরা আরও জানান, সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন গাউসুল। সেদিন আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে প্রথমেই তাঁরা ছুটে যান আগুন নেভাতে। সেখানেই বিস্ফোরণে দগ্ধ হন গাউসুল আজম।

গত ৪ জুন (শনিবার) রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। 

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগের লাশগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৭ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। এসব মরদেহ তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিদের পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে।