ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এনআইডি দিতে বিশেষ ব্যবস্থা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এনআইডি দিতে বিশেষ ব্যবস্থা
ডন প্রতিবেদন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরমধ্যে এখনও যাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, টিকা পাওয়ার সুবিধার্থে তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) থেকে এক সপ্তাহ ধরে এই নিবন্ধনের কাজ চলবে। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি ছবি তোলা, দশ আঙ্গুলের ছাপ এবং চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেওয়ার কাজ চলবে এই সাতদিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান সকালে টিএসসিতে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। নির্বাচন কমিশনের এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবীর, ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তারসহ জেলা ও সংশ্লিষ্ট থানা নির্বাচন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত এ কার্যক্রম চালানোর অনুরোধ করেছে। যদি আরও সময়ের প্রয়োজন হয়, তখন নির্বাচন অফিসেও করা যাবে।’ যে শিক্ষার্থীরা হলে থাকেন, তাঁদের সুবিধার জন্য বিশেষ এ ব্যবস্থা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যখনই এনআইডি নম্বর হবে, তাঁদের মোবাইলে এসএমএস যাবে। সেটা দিয়ে তাঁরা টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। পরে স্মার্টকার্ড তৈরি হলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবো।’ স্মার্টকার্ড হাতে পাওয়ার আগে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে এনআইডি কার্ড ডাউনলোড ও প্রিন্ট করে ব্যবহার করতে পারবেন। ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অধিকাংশের এনআইডি রয়েছে। এরপরও যাঁরা বাদ পড়েছেন, টিকা নেওয়ার সুবিধার্থে এবং হলে ওঠার জন্যে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত ৫ অক্টোবর থেকে স্নাতক চূড়ান্ত বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রকোপ প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ায় ১০ অক্টোবর থেকে সব বর্ষের শিক্ষার্থীরাই হলে উঠতে পারবেন। ১৬ অক্টোবর থেকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরুর প্রস্তাব করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি। মাহফুজা আক্তার জানান, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম, তাদের এখন নিবন্ধনের আওতায় আনা হচ্ছে। দেশের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ১৯টি হল ও চারটি হোস্টেলে ২৬ হাজারের মতো শিক্ষার্থী থাকছেন, যদিও এগুলোর শিক্ষার্থী ধারণ ক্ষমতা এর প্রায় অর্ধেক।