জয় : দেশে ফাইভ জি এ বছরই

জয় : দেশে ফাইভ জি এ বছরই
ডন প্রতিবেদন : এই বছরেরমধ্যেই বাংলাদেশে ফাইভ জি নেটওয়ার্ক চালুর কথা বললেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে এক গোলটেবিল আলোচনায় মোবাইল ফোনের পঞ্চম জেনারেশন ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক চালুর কথা বলেন তিনি। বর্তমানে দেশে ফোর জি সেবা চালু আছে। ফাইভ জি চালু ইন্টারনেটের গতি কয়েক গুণ বেড়ে যাবে, ফলে কাজের সুবিধাও যাবে বেড়ে। জয় বলেন, ‘চলতি বছরের শেষ নাগাদ পরীক্ষামূলকভাবে আমাদের ফাইভ জি প্রযুক্তি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘যেহেতু সরকার প্রান্তিক মানুষের কাছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ, সে হিসেবে বাংলাদেশের সক্ষমতা ও ব্যান্ডউইডথের ঘাটতিও নেই। আমাদের প্রচুর সক্ষমতা ও অপটিকাল ফাইবার রয়েছে।’ তিনি বলেন, প্রান্তিক ব্যবহারকারীরা ফিক্সড লাইনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না। তারা মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ‘এ জন্য আমরা স্পেকট্রাম ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছি। ঘন-জনবসতির কারণে আমাদের ব্যাপক জায়গায় এই সংযোগ দিতে হবে এবং অতিরিক্ত সংযোগ নিলামের মাধ্যমে দিতে হবে। আর এ জন্য আমরা মোবাইল অপারেটরদের জন্য অধিক স্পেকট্রাম অবাধ করে দিচ্ছি।’ প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীপুত্র জয় বলেন, ‘আমরা আশা করছি যে-অতিরিক্ত স্পেকট্রাম ব্যবহার করে মোবাইল অপারেটরগুলো দুর্গম গ্রামীণ এলাকাগুলোতে ফোর জি চালু করতে পারবে।’ ‘‘একত্রে ফোর জি ও ফাইভ জি’র মাধ্যমে আমরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শেষ সীমানা পর্যন্ত ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যেহেতু দেশের মধ্যেই প্রচুর সক্ষমতা ও ফাইবার আছে।’’ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর সফরের মধ্যে ‘বিজনেস রাউন্ড টেবিল : ইউএস বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আয়োজন করে ‘ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল’। অনুষ্ঠানে জয় বলেন, বিগত দুই বছরে তাঁরা অনলাইন আইডেন্টিটি (কেওয়াইসি) চালু করেছে এবং মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই আরেকটি সেবা চালু করেছে। যার ফলে বাংলাদেশের যে কোনও ব্যাংক একাউন্টে তাৎক্ষণিক পেমেন্ট করা যাবে। এই সেবা শুরুর আগে এই পেমেন্ট করতে দুই দিন পর্যন্ত সময় লেগে যেতো। জয় বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আরও কিছু ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমও পরীক্ষামূলক চালুর প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এদেরমধ্যে একটি হচ্ছে আইডিপিপি-যার ফলে দেশে আন্তঃসংযোগের জন্য এমএফএস করা সম্ভব হবে। ‘তাই আমরা এই সেবাগুলো চালু করার প্রক্রিয়ায় রয়েছি এবং আপনাদেরসঙ্গে এ ব্যাপারে কাজ করতে পেরে আনন্দিত।’