‘চালক ঘুমাইলে বাস চইল্যা যায় রাস্তার পাশে।’
নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঙলা কাগজ; বরিশাল : যমুনা পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের চালক ঘুমিয়ে পড়ে নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি বরিশালের উজিরপুরে রোববার (২৯ মে) ভোরে দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে ১১ জনের প্রাণহানি হয়েছে। বাসের যাত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে। একাধিক ব্যক্তির ভাষ্য, বাসের চালক ঘুমিয়ে পড়লে বাস রাস্তার পাশে চলে গিয়ে মেহগনিগাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়।
ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের বামরাইলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।
বাসের যাত্রী ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, যমুনা পরিবহনের বাসটি ঢাকা থেকে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় যাচ্ছিলো। চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার বামরাইলের আইয়ুব আলী হাওলাদারের বাড়ির সামনে পৌঁছালে ঘুমন্ত চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। বাসটি তখন সড়কের পূর্ব পাশে মেহগনিগাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। বাস দুমড়েমুচড়ে যায়।
দুর্ঘটনাস্থলে ফরিদপুরের নগরকান্দার সুতার বাড়ি গ্রামের সেন্টু মোল্লা (৫০), বরিশালের বাকেরগঞ্জের সুন্দরকাঠি গ্রামের রমজান আলী (৩৮) ও উজিরপুর উপজেলার মুন্ডুপাশা গ্রামের মাধব শীল (৪৬), ঝালকাঠি সদরের নয়ড়ী গ্রামের মনির হোসেন হাওলাদারের ছেলে আরাফাত হোসেন (৯), পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার উত্তর ভেচকি গ্রামের নজরুল ইসলাম আকন (৩৬) ও তাঁর ভাতিজি আনোয়ারা বেগম (২৩) এবং বরগুনার বেতাগী উপজেলার কাজিরবাদ গ্রামের হালিম মিয়া (২৫) নিহত হন। বাকি চারজনের পরিচয় পাওয়া যায় নি।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ বেলাল হোসেন বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বরিশাল শের–ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গৌরনদী হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট মো. মাহাবুব বাদী হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন।