কালাম আঝাদ’র কলাম : শিক্ষক হত্যা ও লাঞ্ছনার ঘটনায় সকলকে আইনের আওতায় আনুন দ্রুত।
সম্পাদকীয় মত, বাঙলা কাগজ : সাভার ও নড়াইলের ঘটনা আমাদের ব্যথিত করেছে অনেক। আমরা মর্মাহত। মানুষ অশিক্ষিত আর ধর্মান্ধ হলে যে কী করতে পারে এবং একজন বখাটে ছেলের দ্বারা যে কী হতে পারে, সেটি এখন আমাদের সামনে স্পষ্ট।
আমি বলতে চাই, দুইজন শিক্ষকের ওপর যে আঘাত এসেছে, তাঁরা কিন্তু দুজনেই সনাতন ধর্মাবলম্বী অর্থাৎ হিন্দু ধর্মের অনুসারী। এক্ষেত্রে আমি বলতে পারি, অন্তত ২৫ জুনের ঘটনা পরিকল্পিত। কারণ ১৭ জুনের ঘটনার পর হিন্দু ধর্মের আরও একজন এবং আরও এক শিক্ষকের ওপরই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সুতরাং শিক্ষক লাঞ্ছনাকারী থেকে শুরু করে শিক্ষক হত্যাকারীর সঙ্গে আরও কারা কারা জড়িত, তাদেরকে খুঁজে বের করুন দ্রুত।
বাঙলা কাগজ ও ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে স্টাম্প দিয়ে পেটানোর পর হামলাকারী শিক্ষার্থী জিতুকে সবার সামনে থেকে নিয়ে যান তার বাবা।
সুতরাং ওই ব্যক্তিসহ আরও যারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত, তাদের সকলকেই আইনের আওতায় নিয়ে আসুন। আর নড়াইলের ঘটনায় শিক্ষকের গলায় জুতার মালা, মোটরসাইকেলে আগুন ও ভাঙচুর এবং আরও একজন শিক্ষককে মারধরের ঘটনায়ও কঠোর হোন। শুধু ৩ জনকে গ্রেপ্তার করলেই হবে না; প্রয়োজনে ৩ শ জনকে গ্রেপ্তার করতে হবে। আমাদের এই দেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ। আমাদের এই দেশ, সকল ধর্মের দেশ। আমাদের এই দেশ, স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের দেশ। আমাদের এই দেশ, সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের দেশ। সুতরাং অসাম্প্রদায়িকতা যারা নষ্ট করবে, তাদেরকে কোনোভাবেই ছাড়া যাবে না। শিক্ষক হত্যাকারী ও শিক্ষক লাঞ্ছনাকারী সকলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসুন দ্রুত।