আরসা ও আরএসওর মধ্যে গোলাগুলিতে নিহত ২ : অগ্নিসংযোগ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের জিরো পয়েন্ট এলাকায় দুই সশস্ত্র গ্রুপ- আরসা ও আরএসওর গোলাগুলিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
এ ছাড়া সন্ধ্যায় জিরো পয়েন্টে থাকা রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন- হামিদ উল্লাহ ও মুহিব উল্লাহ।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মল আলী তাঁদের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে গোলাগুলি ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ওই এলাকার স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়েছে।
ঘুমধুম এলাকার সমাজসেবক জাহাঙ্গীর আলম রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে বলেন, প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সশস্ত্র সংগঠন ‘আরসা’ এবং ‘আরএসও’ এর মধ্যে শূন্য রেখায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত অবস্থায় দুইজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, আহত অবস্থায় তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে দুজনকে উদ্ধার করে কুতুপালং ক্যাম্পের পাশে এমএসএফ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হামিদ উল্লাহকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুহিব উল্লাহরও মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, কি কারণে বা কেনো তাঁরা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, তা এখনো বলা যাচ্ছে না। দু জনের শরীরে বিশেষ রঙের পোশাক রয়েছে। তাঁরা মিয়ানমারের কোনও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, সকাল থেকে শূন্যরেখায় গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। কী হচ্ছে সে ব্যপারে আমরা নিশ্চিত নই। হয়তো মিয়ানমারের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলি চলছে।
এর আগে বুধবার সকাল ৬টার পর থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের কোনারপাড়া নামক স্থানে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দু পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। যেহেতু ঘটনাটি শূন্যরেখায়, সেহেতু বিজিবির হস্তক্ষেপ করার কোনও সুযোগ নেই। তারপরও আমাদের বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সার্বক্ষণিক খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।