‘আমি তো পাগল হয়ে যাবো’

‘আমি তো পাগল হয়ে যাবো’
ডন প্রতিবেদন : ‘কেনো আমার জামিন আবেদন করলেন না। আমি তো পাগল হয়ে যাবো। আপনারা জামিন চান, আপনারা আমারসঙ্গে কী কথা বলবেন? আপনারা বুঝতেছেন, আমার কী কষ্ট হচ্ছে?’ আইনজীবীর উদ্দেশে কথাগুলো বলেছেন পরীমনি। কথা বলার একটু সুযোগ পেয়েই আইনজীবীর উদ্দেশে এভাবেই কথাগুলো বলেন পরীমনি। সরেজমিনে দেখা গেছে, বিচারক এজলাসকক্ষ ত্যাগ করার পর পরীমনির কাছে যান তাঁর আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত। তখন তাঁকে দেখে পরীমনি ক্ষুব্ধ কণ্ঠে এসব বলেন। শুনানি শেষে পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘পরীমনিকে দফায় দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আমরা বারবার বলছি, পরীমনি অসুস্থ। শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত পরীমনি আমাকে বলেছেন, এভাবে থাকলে তো তিনি পাগল হয়ে যাবেন।’ মাদক মামলায় গ্রেপ্তার চিত্রনায়িকা পরীমনিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (সিএমএম) আজ শনিবার (২১ আগস্ট) এই আদেশ দেন। একটি প্রিজন ভ্যানে করে বেলা ৩টা ১৪ মিনিটে তাঁকে আদালতের হাজতখানা থেকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে এক দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে আজ শনিবার (২১ আগস্ট) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে আদালতে হাজির করা হয়। বেলা ২টা ৫০ মিনিটে পরীমনিকে হাজতখানা থেকে আদালতের এজলাসকক্ষে তোলা হয়। পরীমনির আইনজীবীরা আদালতের কাছে আবেদন করেন, আইনি পরামর্শের জন্য তাঁরা পরীমনির সঙ্গে কথা বলতে চান। এটি তাঁর আইনি অধিকার। আজ তাঁরা জামিন চেয়ে আবেদন করবেন না। অবশ্য পরীমনির সঙ্গে কথা বলার অনুমতি চেয়ে করা আবেদনের বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু। তিনি আদালতকে বলেন, ‘মামলার তদন্ত চলমান। আসামি জামিনও পান নি। এমন অবস্থায় পরীমনির সঙ্গে আইনজীবীদের কথা বলার অনুমতি না দেওয়ার আবেদন করছি।’ পরে আদালত পরীমনিরসঙ্গে কথা বলতে চেয়ে করা আবেদন নাকচ করেন। এদিন বনানী থানায় মাদকদ্রব্য আইনের দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা পরীমনিকে তৃতীয় দফায় এক দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন। এরপর তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরীমনিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। তদন্ত কর্মকর্তা কারাগারে আটক রাখার আবেদনে বলেন, ‘আসামি পরীমনি মামলার বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছেন। তাঁর দেওয়া তথ্য-উপাত্ত তদন্তের স্বার্থে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। মামলার তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে কারাগারে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করছি।’ গত ৪ আগস্ট রাতে ৪ ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমনি ও তাঁর সহযোগিকে আটক করে র‍্যাব। তাঁর বাসা থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। আটকের পর তাঁদের নেওয়া হয় র‍্যাব সদর দপ্তরে। পরে র‍্যাব-১ বাদি হয়ে মাদক আইনে পরীমনির বিরুদ্ধে মামলা করে।