অর্থমন্ত্রী : ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনলে প্রণোদনার সঙ্গে স্বীকৃতিও দেওয়া হচ্ছে।

অর্থমন্ত্রী : ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনলে প্রণোদনার সঙ্গে স্বীকৃতিও দেওয়া হচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আমার এক সময়ের স্টাডি অনুযায়ী, ৪৯ শতাংশ রেমিট্যান্স ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে হুন্ডির মাধ্যমে আসতো। যাঁরা হুন্ডির মাধ্যমে টাকা আনেন, তাঁরা বিবেকের কাছে দায়ী থাকবেন। আর ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনলে তো ডাবল লাভ। কারণ প্রণোদনাও দেওয়া হচ্ছে; আবার স্বীকৃতিও দেওয়া হচ্ছে।

বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

হুন্ডিতে না পাঠিয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠাতে প্রবাসীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা সব সময় অফিসিয়াল চ্যানেলে বিদেশ থেকে টাকা আসুক, সেটা প্রত্যাশা করি। কারণ এটার যে সুফল, সেটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। হুন্ডির মাধ্যমে যদি টাকা নিয়ে আসেন, সেটিকে অবৈধ বলবো না, সেটি কালো টাকা। যাঁরা সেই টাকা হুন্ডির মাধ্যমে নিয়ে আসেন, তাঁরা সব সময় বিবেকের কাছে দায়ী থাকবেন। তাঁদের আস্তে আস্তে অনেক টাকা হয়ে গেলে, সেটি কিন্তু রেকর্ড করতে পারছেন না; কারণ হুন্ডির টাকা। কখনও ইনকাম ট্যাক্স বা রেগুলেটরি অথরিটি এ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে জবাব দিতে পারবেন না।

অর্থমন্ত্রী বলেন, রেমিট্যান্স আমাদের অন্যতম একটি প্রধান খাত। আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যের পরে রেমিট্যান্স অর্থনীতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এবং অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। আমি মনে করি, এটি আমাদের জন্য ভালো লক্ষণ। কিন্তু রেমিট্যান্স ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠাতে হবে। কারণ এখন আমরা রেমিট্যান্সের প্রণোদনা বাড়িয়ে ২ শতাংশ থেকে আড়াই শতাংশ করেছি। সুতরাং ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালেই লাভ। আর যাতে ব্যাংকের বাইরে রেমিট্যান্স না আসতে পারে, সেজন্য বাড়তি দামে ডলার ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং এটি চলমান থাকবে।

আ হ ম মুস্তফা কামাল আরও বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনলে অনেক লাভ। অফিসিয়াল চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসলে যে শুধু প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে, তা না; স্বীকৃতিও দেওয়া হচ্ছে। আর এই অর্থের হিসাবও তাঁরা দিতে পারবে। ফলে তাঁদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মও কিন্তু এটি সুন্দরভাবে ভোগ করতে পারবে। এতে প্রশ্ন বা দায়বদ্ধ থাকবে না।