১৪৫ টাকা মজুরির সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান : ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চা-শ্রমিকেরা।

১৪৫ টাকা মজুরির সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান : ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চা-শ্রমিকেরা।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলা কাগজ; সিলেট ও হবিগঞ্জ : চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছেন হবিগঞ্জের ২৩টি চা–বাগানের শ্রমিকেরা। আজ রোববার (২১ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বর এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। মহাসড়ক আটকে মজুরি বাড়ানোর দাবিতে স্লোগান দেন শ্রমিকেরা। যান চলাচল বন্ধ থাকায় মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। বেলা আড়াইটার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবরোধ চলছিলো।

গতকাল শনিবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় অবস্থিত বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের অফিসে চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে সরকার ও মালিকপক্ষের বৈঠকে চা-শ্রমিকদের নতুন মজুরি ১৪৫ টাকা করা হয়। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শ্রমিকেরা।

আজকের অবরোধে মহাসড়কে দাঁড়িয়েই বক্তব্য দেন চা-শ্রমিকদের নেতা খোকন দাশ, সাধন সাঁওতাল, রবীন্দ্র দাস প্রমুখ। তাঁরা বলেন, দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম হু হু করে বাড়ছে। কিন্তু তাঁদের মজুরি বাড়ে নি। মজুরি ৩ শ টাকা না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা রাজপথ ছাড়বেন না।

মহাসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মঈনুল ইসলাম, মাধবপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহসিন আল মুরাদসহ প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা শ্রমিকদের মহাসড়ক ছেড়ে আলোচনায় বসতে অনুরোধ করেন। তবে শ্রমিকেরা নিজেদের দাবির বিষয়ে অনড়। ঘটনাস্থলে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘শ্রীমঙ্গল শ্রম অধিদপ্তরে আমাদের শ্রমিকদের মজুরি ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করা হয় গতকাল। আমরা এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছি। আমাদের বেতন ৩ শ টাকা না করা পর্যন্ত আমরা মহাসড়কে অবস্থান নেবো।’