হোসেনি দালানে হামলার ঘটনায় দুই জঙ্গির কারাদণ্ড।
ডন প্রতিবেদন : সাত বছর আগে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে রাজধানীর হোসেনি দালানের শোক মিছিলে জঙ্গি হামলা মামলায় দুই আসামিকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাকি ছয় আসামি খালাস পেয়েছেন। ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান আজ মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) এই রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ড পাওয়া দুই আসামি হলেন কবীর হোসেন ওরফে রাশেদ ও আরমান ওরফে মনির। কবীরকে ৭ ও আরমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মামলায় ৩ মার্চ রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। পরে আদালত রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ঠিক করেন। সে অনুসারে আজ রায় দেওয়া হলো। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ৪৬ সাক্ষীর মধ্যে ৩১ জনকে হাজির করা হয়েছিলো। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ অনুসারে, ২০১৫ সালের ২৪ অক্টোবর পবিত্র আশুরা উপলক্ষে হোসেনি দালানের শোক মিছিলে গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। এ ঘটনায় একজন নিহত ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। পরেরদিন পুলিশ চকবাজার থানায় মামলা করে। তদন্ত শেষে পরের বছর ২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল ১০ জঙ্গির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। অভিযোগপত্রভুক্ত ১০ আসামির মধ্যে ২ জন শিশু হিসেবে গণ্য হয়। শিশু দুটির মামলা শিশু আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগপত্রভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আট আসামি হলেন কবীর হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আসিফ, আবু সাঈদ ওরফে সালমান, আরমান ওরফে মনির, রুবেল ইসলাম ওরফে সুমন ওরফে সজীব, চান মিয়া, ওমর ফারুক, হাফেজ আহসানউল্লাহ মাহমুদ ও শাহজালাল। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বলা হয়, হোসেনি দালানে যাঁরা হামলা চালান, তাঁরা সবাই জেএমবির সক্রিয় সদস্য। এই হামলায় আরও তিনজনের নাম পাওয়া গেলেও তাঁরা বিভিন্ন সময় বন্দুকযুদ্ধে মারা যান। এই তিনজন হলেন হিরণ ওরফে কামাল, আলবানি ওরফে হোজ্জা ও আবদুল্লাহ ওরফে আলাউদ্দিন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করার জন্যই সন্ত্রাসী জঙ্গিগোষ্ঠী তাদের পরিকল্পনা ও ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই হামলা চালায়। হোসেনি দালানে জঙ্গি হামলার এ মামলায় পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০১৭ সালের ৩১ মে ১০ জঙ্গির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত। পরে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। সেখান থেকে মামলাটি ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।