ডন প্রতিবেদন : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করে, আন্দোলন করে সরকার পতন করা যাবে না। বিষয়টি বুঝতে পেরে বিএনপি এখন বেগম জিয়াকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে আন্দোলন করতে চায়। তারা বেগম জিয়ার লাশ নিয়ে রাজনীতি করতে চায়।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর উত্তরার আজমপুর রবীন্দ্র স্মরণিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ১ নম্বর ওয়ার্ড ইউনিট আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, উন্নয়নের ফিরিস্তি দেখে বিএনপি এখন বেগম জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন ছিলেন ঠিক আছে। তিনি আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি, এটা আগে মানতে হবে। দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত কয়েদি। দেশে সংবিধান আছে, আইন আছে। কারাবিধান যা আছে, সেগুলো অনুসরণ করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুলের জন্য আলাদা আইনের সুযোগ নেই। আইন সবার জন্য সমান।
হানিফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী মানবতা দেখিয়ে কারাবাধির বাইরে গিয়ে তাকে নির্বাহী ক্ষমতায় বাসায় থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন। জেলখানায় গৃহপরিচারিকা রাখার সুযোগ দিয়েছেন। দণ্ড স্থগিত রেখে তার চিকিৎসার সুযোগ দিয়েছেন। পৃথিবীর কোথাও কয়েদিকে এমন সুযোগ দেওয়ার নজির নেই।
‘আইনে পারেন নি, প্রধানমন্ত্রী মানবতা দেখিয়ে চিকিৎসার সব রকম সুযোগ দিয়েছেন। বিএনপি নেতারা তাকে বাসায় নেওয়ার পর বললেন, প্রধানমন্ত্রী মানবতার কাজ করেছেন। অথচ এখন উল্টো তারা দাবি করছেন, বিদেশে পাঠাতে হবে। কোন আইনে তিনি বিদেশ যাবেন?’
মাহবুবউল আলম হানিফ আরও বলেন, এখন একটাই উপায় আছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে যদি দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। রাষ্ট্রপতির ক্ষমার মাধ্যমে দণ্ড মওকুফ হলে তিনি দেশে-বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারবেন। বিএনপি নেতাদের জিজ্ঞেস করবো, আপনারা সেটাতে কেনো যাচ্ছেন না? সত্যিকার অর্থে যদি বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি আপনাদের মায়া, দরদ থাকতো। তাহলে আপনাদের প্রথম কাজ ছিলো রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বেগম জিয়ার শারীরিক সুস্থতার জন্য বিএনপির মাথাব্যাথা নেই। তার সন্তানেরও মায়া নেই। তারেক রহমান তার অসুস্থ মাকে দেখতে আসবে না। কারণ তার কাছে মায়ের মমতার চেয়ে ক্ষমতার লোভটাই বেশি। বিএনপি চায়, খালেদা মারা যাক। দেশের ভেতর একটা অস্থিতিশীলতা করে, জ্বালাও-পোড়াও করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা তাদের উদ্দেশ্য। একজন লন্ডনে বসে স্বপ্ন দেখেন, আর মির্জা ফখরুল প্রেসক্লাবের সামনে দাড়িয়ে স্বপ্ন দেখেন। এই দেশে এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ নেই।’
এর আগে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। এ সময় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি।