নটরডেম কলেজছাত্রের মৃত্যু : দুজন কর্মচ্যুত ও একজন সাময়িক বরখাস্ত।

ডন প্রতিবেদন : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লার গাড়ির চাপায় ঢাকা নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসান নিহত হওয়ার ঘটনায় দুজনকে কর্মচ্যুত ও একজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে দায়িত্বহীনতার অভিযোগ আনা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) রাতে সংস্থাটির মুখপাত্র ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত এক দপ্তর আদেশ পাঠান। কর্মচ্যুত ব্যক্তিরা হলেন পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. হারুন মিয়া ও মো. আবদুর রাজ্জাক। এ দুজন দৈনিক মজুরিভিত্তিতে কাজ করছিলেন। তাঁরা করপোরেশনের স্থায়ী কর্মী নন। আর সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মী হলেন গাড়িচালক (ভারী) মো. ইরান মিয়া। নাঈম হাসানকে চাপা দেওয়া গাড়িটি ইরান মিয়ার অনুকূলে বরাদ্দ ছিলো। তিনি করপোরেশনের নিয়োগপ্রাপ্ত গাড়ির চালক। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও করা হয়েছে। জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের জানান, অবৈধভাবেই গাড়ি বরাদ্দ গ্রহণ করে তা চালানোয় পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. হারুন মিয়া ও গাড়ি চালানোর কাজে সহযোগিতা করায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. আবদুর রাজ্জাককে কর্মচ্যুত করা হয়েছে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি সূত্র বলছে, নাঈম হাসানকে চাপা দেওয়ার সময়ে গাড়িতে আরও তিনজন শ্রমিক ছিলেন। তাঁরা হলেন রব্বানী, বিল্লাল ও রাসেল। তাঁরা বাইরের শ্রমিক ছিলেন। গতকাল বুধবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের বাসা থেকে আরামবাগের নটরডেম কলেজের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলো একই কলেজেরই দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নাঈম হাসান (১৭)। তবে অন্য দিনগুলোর মতো তিনি কলেজে পৌঁছাতে পারেন নি, বসতে পারেন নি ক্লাসে। গুলিস্তানে রাস্তা পার হওয়ার সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লার গাড়ির চাপায় মৃত্যু হয় তাঁর। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে গুলিস্তান হল মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বাংলা কাগজ এবং ডনকে জানিয়েছেন, হল মার্কেট মোড়ে বায়তুল মোকাররমগামী দক্ষিণ সিটির একটি ময়লার গাড়ি (কমপেক্টর) মোড় ঘুরে নাঈমকে প্রথমে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি পড়ে যান। পড়ে গিয়ে তিনি গাড়িটিকে হাত দেখান। তবুও গাড়িটি না থেমে তাঁকে চাপা দিয়ে চলে যায়। পরে গুরুতর আহত নাঈমকে পুলিশ ও পথচারীরা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পরপরই তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।