সাংবাদিক নাদিম হত্যা : চেয়ারম্যান বাবুর সহযোগী গ্রেপ্তার

সাংবাদিক নাদিম হত্যা : চেয়ারম্যান বাবুর সহযোগী গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলার কাগজ; জামালগঞ্জ : জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবুর সহযোগী নয়ন মিয়াকে (২৪) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার (৩ জুলাই) রাতে অভিযান চালিয়ে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের মধ্য ধাতুয়াকান্দা নিজ বাড়ি থেকে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। নয়ন ওই এলাকার সানোয়ার হোসেনের ছেলে।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বাঙলার কাগজকে জানান, সাংবাদিক নাদিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ধৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রত্যক্ষভাবে নয়ন মিয়ার সম্পৃক্ততা কথা জানা গেছে। পুলিশ সুপার স্যারের দিক নির্দেশনায় সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মধ্য ধাতুয়াকান্দা নিজ বাড়ি থেকে নয়নকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

১৪ জুন রাতে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাংলানিউজের জেলা প্রতিনিধি ও একাত্তর টেলিভিশনের বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী নাদিমের ওপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা। বকশীগঞ্জের সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর নেতৃতে সন্ত্রাসীরা বকশীগঞ্জ সরকারি কলেজ মোড় এলাকায় মোটরসাইলের গতিরোধ করে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে ১০-১২ জন এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করে ফেলে রেখে যায়। প্রথমে তাঁকে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পরেরদিন সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। 

এ ঘটনায় নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদি হয়ে মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। প্রধান আসামিসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে আনা হয়েছে বকশীগঞ্জ থানায়। তাদের মধ্যে মাহমুদুল আলম বাবুকে পাঁচ দিন, ৬ আসামিকে চারদিন এবং অপর ৬ আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলো : রেজাউল করিম, মনিরুজ্জামান, জাকিরুল, গোলাম কিবরিয়া সুমন, মিলন, তোফাজ্জল, আইনাল, কফিল উদ্দিন, ফজলু মিয়া, শহীহ, মকবুল ও ওহিদুজ্জামান।