শৈল্পিক ফুটবলে দ. কোরিয়াকে গুঁড়িয়ে কোয়ার্টারে ব্রাজিল

শৈল্পিক ফুটবলে দ. কোরিয়াকে গুঁড়িয়ে কোয়ার্টারে ব্রাজিল

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : গতি, ছন্দ, ক্ষীপ্রতা। এক ম্যাচেই যেন সেই পুরনো শৈল্পিক ব্রাজিলকে খুঁজে পাওয়া গেল। সাম্বার তালে তালেই কাতার বিশ্বকাপে শেষ ষোলোর ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার ৪-১ গোলে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ব্রাজিল। সহজ এই জয়ে আসরটির কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল তিতের শিষ্যরা।

এদিন ম্যাচের ৩৬তম মিনিটের মধ্যেই ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় সেলেসাওরা। প্রথম গোলটি করেন ভিসিসিয়াস জুনিয়র। পেনাল্টি থেকে দ্বিতীয় গোলটি করেন নেইমার। এরপর রিচার্লিসনের পা থেকে তৃতীয় গোলটি আসে। আর ৩৬তম মিনিটে লুকাস পাকুয়েতা চতুর্থ গোলটি করেন। বিরতির পর কোরিয়ার হয়ে একটি গোল শোধ করেন পাইক সেউং-হো।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ মুখোমুখি হয় দুদল। যেখানে শুরু থেকে আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে ব্রাজিল। আর রক্ষণ সামলাতে ব্যস্ত থাকে দ. কোরিয়া।

কোরিয়া কিছু বুঝেওঠার আগেই ম্যাচের সপ্তম মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। কোরিয়া ডি-বক্সের বাইরে বল হারালে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে একজনের বাধা এড়িয়ে ডান দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন রাফিনিয়া। এরপর বাইলাইন থেকে বক্সের বাঁ দিকে পাস দেন তিনি। ফাঁকায় বল পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান পায়ের জোরাল শটে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন ভিনিসিউস।

এরপর কোরিয়া অর্ধে রিচার্লিসনকে কোরিয়ার জং য়ু-ইয়ং ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। সেখান থেকে ১৩তম মিনিটে গোল করে ব্যবধান বাড়ান নেইমার। চলতি বিশ্বকাপে এটি পিএসজি তারকার প্রথম গোল।

২৯তম মিনিটে থিয়াগো সিলভার পাসে দলের স্কোর ৩-০ করেন রিচার্লিসন। অধিনায়ক থ্রু বল বাড়ান বক্সে। প্রথমে ডান পায়ে বল ধরে বাঁ পায়ের আলতো শটে লক্ষ্যভেদ করেন টটেনহ্যাম হটস্পার ফরোয়ার্ড।

বিরতির আগে ৩৬তম মিনিটে ব্রাজিলকে ৪ গোলে এগিয়ে দেন লুকাস পাকুয়েতা। বাঁ দিক দিয়ে ক্ষিপ্র গতিতে বক্সে ঢুকে দারুণ চিপ শটে বল দূরের পোস্টে বাড়ান ভিনিসিয়াস। ডান পায়ের নিখুঁত শটে গোলটি করেন মিডফিল্ডার পাকেতা।

এ নিয়ে বিশ্বকাপে মাত্র দ্বিতীয়বার কোনো ম্যাচের প্রথমার্ধে ৪ গোল করল ব্রাজিল।  এর আগে ১৯৫৪ বিশ্বকাপে মেক্সিকোর বিপক্ষে এমন কীর্তি গড়েছিল হলুদ জার্সিধারীরা।

দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণ আরও বাড়িয়ে গোছানো ফুটবল খেলে কোরিয়া। এর পুরস্কারও তারা পায় ম্যাচের ৭৬তম মিনিটে। ফ্রি-কিক থেকে দুজন ঘুরে ডি-বক্সের বাইরে বল পান পাইক সেউং-হো। সেখান থেকে হাফ ভলিতে জোরাল শটে অসাধারণ গোলটি করেন এই তারকা।

ম্যাচের বাকি সময় ব্রাজিল আরও কিছু চেষ্টা করে। কিছু সুযোগ পায় কোরিয়াও। তবে আর কোনো গোল না হওয়ায় ৪-১ ব্যবধানের দুর্দান্ত জয় নিয়েই শেষ আটে পা রাখে ব্রাজিল।