শিক্ষক উৎপল কুমার হত্যা : জিতু বহিষ্কার।

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঙলা কাগজ; সাভার : সাভারের আশুলিয়ায় শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার হত্যার প্রধান আসামি জিতুকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার (পহেলা জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম।

তিনি আজ বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও কলেজের শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য উৎপল কুমার সরকার হত্যাকাণ্ড মামলার প্রধান আসামি জিতুকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ঘটনার পরই আমরা তাকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করি। এ ঘটনায় আমরা জিতুর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।’

এদিকে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বন্ধ থাকা হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ পুলিশ পাহারায় শনিবার (২ জুলাই) থেকে ক্লাস শুরু হচ্ছে। 

আজ বেলা সাড়ে ১১টায় আশুলিয়ার চিত্রশাইলে হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা জেলা পুলিশের মতবিনিময় সভা শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার।

সভায় শিক্ষক উৎপল কুমারের হত্যাকারী জিতুকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশকে ধন্যবাদ জানায় প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, নিহতের পরিবারের ক্ষতিপূরণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি করেন তারা। 

এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে বখাটেদের উপদ্রবসহ নানা সমস্যার কথা পুলিশের সামনে তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ওই এলাকায় নিয়মিত পুলিশ টহলের ঘোষণা দেন। পাশাপাশি নিহত পরিবারের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করার কথাও জানান।

গত শনিবার (২৫ জুন) দুপুরে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকায় হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় জিতু। সে ক্রিকেটের স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে শিক্ষক উৎপল সরকারকে গুরুতর আহত করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এর দুদিন পর গত সোমবার (২৭ জুন) ভোরে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার মারা যান। এর আগে উৎপল কুমার সরকার গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গত রোববার (২৬ জুন) আশুলিয়া থানায় মামলা করেন তাঁর ভাই অসীম কুমার সরকার। ওই মামলায় জিতুসহ অজ্ঞাত কয়েকজন আসামি। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জিতু এবং তার বাবা উজ্জ্বল ৫ দিন করে রিমান্ডে আছেন।