রংপুরে ‘মডেল নির্বাচন’ করতে পুলিশের ৬ স্তরের নিরাপত্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলার কাগজ ও ডন; রংপুর : রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ছয় স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
এ ছাড়া মাঠে সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নুরে আলম মিয়া।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রংপুর সিটিতে হতে যাওয়া নির্বাচন হবে মডেল নির্বাচন। এজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি প্রহণ করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রংপুর সিটি নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে পুলিশ কমিশনার এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব সদস্যদের নিরপেক্ষভাবে সার্ভিস রুল মেনে দায়িত্ব পালন করার কথা বলা হয়েছে। কেউ এর ব্যতিক্রম ঘটালে তার দায়ভার কেউ নেবে না। নির্বাচনে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসার সমন্বয়ে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি মোবাইল ফোর্স থাকবে। এ ছাড়া প্রতি তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং প্রতি থানায় একটি করে রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। আর প্রতি দুইটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে র্যাবের টিম থাকবে।
এ ছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে র্যাব অথবা পুলিশের টিম সংশ্লিষ্ট ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে। আর গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে চারজন অস্ত্রসহ পুলিশ (একজন এসআই অথবা এএসআই ও তিনজন কনস্টেবল), দুইজন অস্ত্রসহ অঙ্গীভূত আনসার ও ১০ জন লাঠিসহ অঙ্গীভূত আনসার অথবা ভিডিপি সদস্য (চারজন মহিলা ও ছয়জন পুরুষ) মোতায়েন থাকবে। ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৬ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
রংপুর সিটির নির্বাচনে মোট চার লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন ভোটার ২২৯টি কেন্দ্রে তাদেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসার ২২৯ জন, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এক হাজার ৩৪৯ জন এবং পোলিং অফিসার থাকবেন দুই হাজার ৬৯৮ জন থাকবেন। ইভিএমের মাধ্যমে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভাটগ্রহণ হবে। সবগুলো কেন্দ্র সিসিটিভির আওতায় থাকবে।