রাধাকানাইয়ে সংরক্ষিত আসনে ‘ফিলিপাইনি’ নারীর বিজয়

রাধাকানাইয়ে সংরক্ষিত আসনে ‘ফিলিপাইনি’ নারীর বিজয়
ডন সংবাদদাতা, ফুলবাড়ীয়া, ময়মনসিংহ : ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার রাধাকানাই ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সংরক্ষিত আসনে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন জেসমিন আকতার জুলহাস নামের ফিলিপাইনি বংশোদ্ভূত এক নারী। নির্বাচিত হওয়ার পর মানুষের ভিড় বেড়েছে তাঁর বাড়িতে। বিশেষ করে বিদেশি বংশোদ্ভূত এই নারীকে এক নজর দেখার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসছেন অনেকেই। জানা গেছে, উপজেলার রাধাকানাই গ্রামের জুলহাস মিয়া ১০ বছর আগে গিয়েছিলেন সিঙ্গাপুর। সিঙ্গাপুরে এক কোম্পানিতে কাজ করার সময় পরিচয় হয় জীন ক্যাটামিন প্রেট্রিয়াকা নামের ফিলিপাইনি ওই নারীরসঙ্গে। সেখানেই তাঁদেরসঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। জুলহাস ২০১০ সালে দেশে ফিরে এসে প্রেমের টানে যান ফিলিপাইনে। সেখানেই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয় তাঁদের। ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত ওই ফিলিপাইনি মহিলার নাম রাখা হয় জেসমিন আকতার জুলহাস। পরে স্বামীরসঙ্গে বাংলাদেশে চলে আসেন জেসমিন। দেশে এসে বৈবাহিক সূত্রে বাংলাদেশি নাগরিকত্বও পেয়ে যান তিনি। তাঁদের সংসারে রয়েছে জাহিদুল ইসলাম জিহাদ (৯) ও ফারিয়া আকতার শিউনা (৭) নামের দুই সন্তান। বিদেশি হওয়ার পরও গ্রামের সবারসঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে জেসমিনের। সেখান থেকে জনসেবার স্বপ্ন দেখেন তিনি। দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত গত ১১ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রাধাকানাই ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সংরক্ষিত আসনে মাইক প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হন তিনি। নির্বাচনে ৪ হাজার ৪৯৬ ভোট পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন তাঁকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করে। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোছা. শিমু আকতার বক প্রতীকে পান ১ হাজার ৮৩৭ ভোট। এ ব্যাপারে জেসমিন আকতার জুলহাস বাংলা কাগজ এবং ডনকে বলেন, মানুষের ভালবাসায় আমি অভিভূত। মানুষ আমাকে যেমন ভালবাসা দিয়েছে আমিও মানুষকে তেমন ভালো কাজ উপহার দেবো। জনসেবা করে বাকি জীবন তাঁদেরসঙ্গে থেকে কাটিয়ে দিতে চাই। জেসমিনের স্বামী জুলহাস মিয়া বলেন, বিদেশিনি হলেও তিনি ‘ভাঙ্গা ভাঙ্গা’ বাংলা বলতে পারেন। জনসেবা করা তাঁর বড় ইচ্ছা। আমি তাঁর জনসেবার কাজে বেশ আগ্রহী। প্রতিদিন তাঁকে দেখার জন্য দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এসে বাড়িতে ভিড় করছেন। তিনিও সবাইকে সময় দিচ্ছেন।