মালদ্বীপে প্রধানমন্ত্রীর ৭৬তম জন্মদিন উদ্‌যাপিত

মালদ্বীপে প্রধানমন্ত্রীর ৭৬তম জন্মদিন উদ্‌যাপিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঙলার কাগজ; মো. আবদুল্লাহ কাদের, মালদ্বীপ : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উদ্‌যাপিত হয়েছে মালদ্বীপে। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মালদ্বীপের রাজধানী মালের সি বিল্ডিংয়ের হলরোমে ওই জন্মদিন উদ্‌যাপন করা হয়। জন্মদিন এবং আলোচনা সভা শুরু করা হয় পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মধ্য দিয়ে। আয়োজনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাত এবং দোয়া করেন মো. আল আমিন। মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম কে আর কামাল হোসেন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

অনুষ্ঠানে মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ দুলাল মাদবরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন এনবিএল মানি ট্রান্সফার (মালদ্বীপ) প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর হান্নান খান কবির। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন এনবিএল মানি ট্রান্সফার (মালদ্বীপ) প্রাইভেট লিমিটেডের সিইও মো. মাসুদুর রহমান, প্রবাসী ব্যবসায়ী ফোরএল প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক মো. হাদিউল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহাজালাল শিকদার, ফাইজুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম রিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান, সহ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, মালদ্বীপ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক এম আর মামুন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ৩০ লাখ শহিদের রক্ত এবং ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আজ বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে চলছে। এর মূল কারণ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এগিয়ে যাওয়া। তাঁর বাবার রেখে যাওয়া স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। এবং সত্যিকারের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। 

‘মানবতার নেত্রী শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে অর্থনীতি সচল রেখে বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিচ্ছেন। গোটা বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করছেন। বাংলাদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনেও তিনি বিশ্ব নেতাদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন এবং মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতায় পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছেন।’

অনুষ্ঠানের শেষের দিকে নীল দরিয়া শিল্পগোষ্ঠীর পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।