বড় নেতার স্বজনেরা বিনা ভোটে

ডন প্রতিবেদন : চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ভোট ছাড়াই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। প্রথম আলো অনলাইন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মতলব উত্তরের মোহনপুর ইউনিয়নে বিনা ভোটে নির্বাচিত শামসুল হক চৌধুরী সাবেক ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর (মায়া চৌধুরী) ছোট ভাই। ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নে বিনা ভোটে নির্বাচিত নূর মোহাম্মদ চাঁদপুর-২ আসনের সাংসদ মো. নুরুল আমিন রুহুলের ছোট ভাই। ইলামাবাদ ইউনিয়নে নির্বাচিত চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন সরকার পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলমের ভাতিজা। দুর্গাপুর ইউনিয়নে বিনা ভোটে নির্বাচিত হতে যাওয়া চেয়ারম্যান প্রার্থী মোকাররম হোসেন খান কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের ছোট ভাই। মতলব উত্তরের মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা কাজী মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও তিনি দলীয় মনোনয়ন পান নি। ‘রাজনৈতিক চাপ ও হুমকিতে’ তিনি প্রার্থী হন নি। এদিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের ১১টি ইউনিয়নেরমধ্যে ৮টিতে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। এসব ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পাশাপাশি দলের বিদ্রোহী প্রার্থী, জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টি, ইসলামী আন্দোলনসহ স্বতন্ত্রভাবে অনেকেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। সবাই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। বিদ্রোহী বেশি যেসব এলাকায় : তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যেসব এলাকায় বিদ্রোহী বেশি, তারমধ্যে রয়েছে নরসিংদী, কুষ্টিয়া, গোপালগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, চুয়াডাঙ্গা, সিরাজগঞ্জ, মাগুরা ও ঝিনাইদহ। নরসিংদীর দুটি উপজেলার ২২টি ইউপিতে ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬১ জনে। জেলার রায়পুরা উপজেলার মির্জাপুর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আসাদুল্লাহ ভূঁইয়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। তিনি বলেন, গত নির্বাচনেও তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে জয়ী হন। এবারও তিনি দল থেকে মনোনয়ন চেয়ে পান নি। কিন্তু এলাকার মানুষের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। মাঠে বিএনপির নেতারা : বিএনপি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে ইউপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তবে দলটির তৃণমূল পর্যায়ের অনেকে স্বতন্ত্রভাবে প্রার্থী হয়েছেন। তৃতীয় ধাপের ইউপি ভোটে অংশ নিচ্ছেন দলটির প্রায় ৩৭৯ জন নেতাকর্মী। এরমধ্যে বগুড়ায় সর্বোচ্চ ৩৩ জন, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুরে ১৫ জন করে, লালমনিরহাটে ১৭ জন, কুড়িগ্রামে ২০ জন, নওগাঁয় ২৮ জন, কুষ্টিয়ায় ১৫ জন, যশোরে ১৯ জন, সিলেটে ২১ জন ও মৌলভীবাজারে ১৯ জন রয়েছেন। বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাংসদ জি এম সিরাজ বলেন, বিএনপির কোনও নেতা নির্বাচনে প্রার্থী হলে দলীয়ভাবে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।