ডন প্রতিবেদন : কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে করা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আগাম জামিন দেন নি হাইকোর্ট। আগাম জামিনের আবেদন থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
ওই মামলায় আনভীর ও তাঁর স্ত্রী সাবরিনা আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন। এই মামলায় আনভীরের স্ত্রী সাবরিনাকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এ আদেশ দেন।
এর আগে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহানকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরসহ আটজনের বিরুদ্ধে ৬ সেপ্টেম্বর মামলাটি হয়। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ আদালতে মোসারাতের বোন নুসরাত জাহান বাদি হয়ে নালিশি মামলা দাখিল করেন। অপর ৬ জন হলেন আহমেদ আকবর সোবহানের স্ত্রী আফরোজা সোবহান, আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা, ইব্রাহিম আহমেদ, শারমিন, সাইফা রহমান ও মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা।
সেদিন বাদির জবানবন্দি রেকর্ড করে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন। ওই মামলায় সায়েম সোবহান আনভীর ও তাঁর স্ত্রী ১৬ সেপ্টেম্বর আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
এ আগাম জামিন আবেদনের ওপর আজ (বুধবার : ২৯ সেপ্টেম্বর) শুনানি হয়। আনভীর ও তাঁর স্ত্রী আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আগাম জামিনের আরজি জানান। তাঁদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ন ও হাসান ইমাম। রাস্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।
পরে মিজানুর রহমান বলেন, আনভীর ও তাঁর স্ত্রী আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন। হাইকোর্ট শুনানি নিয়ে আনভীরকে জামিন দেন নি। তাঁর স্ত্রীকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন। জামিন আবেদন থেকে আনভীরের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
রাজধানির গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে গত ২৬ এপ্রিল রাতে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে ওই রাতেই গুলশান থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করেন মোসারাতের বড় বোন নুসরাত জাহান। এ মামলায় গত জুলাই মাসে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত গত ১৮ আগস্ট পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন। ওই প্রতিবেদনে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় সায়েম সোবহান আনভীরকে।