বিশ্ব পরিবেশ দিবসের আগের রাতেই হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের বিস্ফোরণ।

বিশ্ব পরিবেশ দিবসের আগের রাতেই হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের বিস্ফোরণ।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : বিশ্ব পরিবেশ দিবস ৫ জুন। আর এর আগের রাতেই বিস্ফোরণ ঘটেছে হাইড্রেজেন পারঅক্সাইডের। যা মারাত্মক বলেই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এটি একটি ভয়ঙ্কর যৌগ, যা মাটিও পুড়িয়ে দিতে পারে। আর পানিতে পড়লে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। অথচ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুনের ঘটনার পরে এই হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের বিস্ফোরণই ঘটেছে। যা অনেক ভয়াবহই বলছেন পরিবেশবিদেরা। তাঁরা এও বলছেন, বিশ্ব পরিবেশ দিবসের ঠিক আগের রাতেই এমন আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনা ভালোভাবে খতিয়ে দেখা উচিত। কারণ এতে অন্য কিছু থাকার অনেক শঙ্কা রয়েছে।

এদিকে আজকের বিশ্ব পরিবেশ দিবস ‘একটাই পৃথিবী : প্রকৃতির ঐকতানে টেকসই জীবন’ এই প্রতিপাদ্যে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে। সঙ্গে এবারের জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার প্রতিপাদ্যও নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘বৃক্ষ- প্রাণে প্রকৃতি প্রতিবেশ, আগামী প্রজন্মের টেকসই বাংলাদেশ।’

১৯৭২ সালে জাতিসংঘের মানবিক পরিবেশ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) উদ্যোগে প্রতি বছর সারাবিশ্বের এক শ টিরও বেশি দেশে ৫ জুন ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রকৃতি ও পরিবেশ থেকে নানা উপাদান গ্রহণ করেই আমরা বেঁচে থাকি। কাজেই প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে পৃথিবী তথা আমাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। পৃথিবীতে মানবজাতির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আমাদেরকে প্রকৃতি ও পরিবেশের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মানবসভ্যতার অস্তিত্ব আজ হুমকির মুখে। সরকার ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আওতায় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার অংশ হিসেবে আপডেটেড ন্যাশনালিটি ডিটারমাইন্ড কনট্রিবিউশন (এনডিসি) এবং জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। 

‘এ ছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে জলবায়ু পরিবর্তন থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুরক্ষার জন্য মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্লান প্রস্তুত করা হয়েছে। যা বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিপথকে জলবায়ু বিপদাপন্নতা থেকে জলবায়ু সহিষ্ণুতা এবং তা থেকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।’

দিবসটি উপলক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকেও নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী পরিবেশ মেলা এবং মাসব্যাপী জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।