ডন প্রতিবেদক, রাজশাহী : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল নিয়ে নিয়ে কটুক্তিকারী আওয়ামী লীগ নেতা ও রাজশাহীর কাটাখালি পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর নামে হয়েছে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা। নগরীর বোয়ালিয়া থানায় ওই মামলা করেছেন ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ বাংলা কাগজ এবং ডনকে বলেন, ‘মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে তিনি পলাতক রয়েছেন।’
এর আগে মেয়র আব্বাসকে গ্রেপ্তারের ও দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে বুধবার (২৪ নভেম্বর) সকাল থেকে রাজশাহীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়।
এ নিয়ে সকালে রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রাজশাহী জেলা ও মহানগর ইউনিট। মুক্তিযোদ্ধাদের এই মানববন্ধনে একত্মতা প্রকাশ করেন বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা।
এ সময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, একজন পৌর মেয়র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে এমন মন্তব্য করার সাহস কীভাবে পায়। তার পেছনে কাদের মদদ রয়েছে, তাঁদের খুঁজে বের করতে হবে।
এ সময় পৌর মেয়র আব্বাসকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান মুক্তিযোদ্ধারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মহানগর শাখার সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবদুল মান্নান, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইশতিয়াক আহমেদ লিমন, কবিকুঞ্জের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রামানিকসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
অন্যদিকে দুপুর ১২টায় পৌর মেয়র আব্বাস আলীকে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেন রাজশাহী কাটাখালি পৌরসভা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মোতাহার আলী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বোরহান উদ্দিন রাব্বানী, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মঞ্জুর রহমান, ফরিদুল ইসলাম রাজু প্রমুখ ওই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এ সময় মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে স্কুল দখল, কাটাখালি বাজারের টাকা আত্মসাৎ, ভূমি দখল, রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ তোলা হয়।
https://www.youtube.com/watch?v=BYaUtP6B51M