বগুড়ার সাবেক প্যানেল মেয়রের ৪ বাড়ি জব্দ

বগুড়ার সাবেক প্যানেল মেয়রের ৪ বাড়ি জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : বগুড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর (প্যানেল মেয়র) সাবেক জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি শামসুদ্দিন শেখ হেলাল, তাঁর দুই স্ত্রী ও এক সন্তানের চারটি বাড়ি জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অর্থ পাচার আইনের মামলায় এই বাড়িগুলো জব্দ করা হয়।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আদালতের নির্দেশে গণপূর্ত বিভাগ বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী এ এইচ এম শাহরিয়ার শহরের চকসূত্রাপুর এলাকায় তাঁদের মালিকানাধীন বহুতল ভবনের চারটি বাড়ি জব্দ করেন। এই সময় দুদক কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি বগুড়া দুদকের সাবেক উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে অর্থ পাচার আইনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলায় শামসুদ্দিন হেলালসহ তাঁর দুই স্ত্রী ও ছেলে হোসাইন হাবিবের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার এবং দুদক আইনের একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এজাহারে হেলালের বিরুদ্ধে ৯ কোটি ৭২ লাখ ৪০ হাজার ৯২০ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। 

এ ছাড়া ১ কোটি ২ লাখ টাকার বেশি সম্পদ দ্বিতীয় স্ত্রী আবে জমজম ওরফে নাজীর কাছে স্থানান্তরের অভিযোগ এনে তাকেও আসামি করে দুদক। তার প্রথম স্ত্রী হেলেনা পারভীন ২ কোটি ৪১ লাখ ২৩ হাজার ৯৮৩ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এ ছাড়া ছেলে হাবীবের ২ কোটি ৮০ লাখ ৫ হাজার ৩৪৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার দাবি করে সংস্থাটি। 

চার মাস তদন্ত শেষে দুদক বগুড়া জেলা কার্যালয়ের তিনজন সহকারী পরিচালক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর প্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জুলাই বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ মোজাম্মেল হক চৌধুরী শ্রমিক নেতা হেলালের চারটি বাড়ি ও ৯টি গাড়ি জব্দের আদেশ দেন। এ ছাড়া গত ১৮ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে হুলিয়া ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এর পর থেকে হেলালসহ চার আসামি পলাতক আছেন। এ ব্যাপারে শামছুদ্দিন শেখ হেলালের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।  

দুদক বগুড়ার পাবলিক প্রসিকিউটর আবুল কালাম আজাদ বলেন, শামসুদ্দিন হেলালের চারটি বাড়ি জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া জব্দের আদেশে থাকা ৯টির মধ্যে ৩টি গাড়িও তিনি রিসিভারের কাছে হস্তান্তর করেছেন। পলাতক থাকায় বাকি ছয়টি গাড়ির সন্ধানে কাজ চলছে।