বিএনপি-জামায়াত লাঠিপেটা ও টিয়ার মেরে আওয়ামী লীগের জনসভা পণ্ড করতো : জয়
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : বিএনপির গণতন্ত্র মানেই বিরোধীদের উপর অত্যাচার ও নির্যাতন। এ রকম হাজারটি ঘটনার একটি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম।
আজ মঙ্গলবার (পহেলা নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
জয় ফেসবুকে বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় যাওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর দমনপীড়ন চালাতে শুরু করে বিএনপি-জামায়াত সরকার। এমনকি কোনও শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বা কর্মসূচি পালন করতেও বাধা দিতো আওয়ামী লীগকে। বিরোধীদের সমাবেশ পণ্ড করার জন্য জাতীয়তাবাদী বাস্তুহারা দলের ব্যানারে ছিন্নমূল সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে নাশকতামূলক হামলা এবং পুলিশকে দিয়ে টিয়ারশেল মারাতো সরকার।
২০০২ সালের ২৯ মার্চ জনকণ্ঠ পত্রিকার সংবাদে ছবিসহ এই নির্মম সংবাদ উঠে আসে। দেখা যায়, মুক্তাঙ্গণে আওয়ামী লীগের একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশে তিন দফা টিয়ারশেল মেরে কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এরমধ্যেই বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা। এরপর সেখানে বেধড়ক লাঠিপেটা করে সমাবেশে স্থান খালি করে পুলিশ সদস্যরা।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় ভাড়া করা ছিন্নমূল কিছু সন্ত্রাসী। বিএনপির হাওয়া ভবন সিন্ডিকেটের এক সংসদ সদস্যের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয়তাবাদী বাস্তুহারা দল নামে এই গুণ্ডাদের সমন্বয় করা হয়। বিএনপি-জামায়াত গড ফাদারদের মাদক ব্যবসার ক্যারিয়ার (বাহক) হিসেবে কাজ করে এই ছিন্নমূল সন্ত্রাসীদের অংশটি।
পুলিশের বেপরোয়া টিয়ারের আঘাতে আহত হন মতিয়া চৌধুরী, সেগুফতা ইয়াসমিন, মারিয়া, লিপি, শিখা, হেলেন, মেয়র হানিফ. মোখরুসুর রহমান এবং আবদুস সাত্তারসহ ২০ জন নেতাকর্মী।