সরেজমিন : বিএনপি কার্যালয় তালাবদ্ধ

সরেজমিন : বিএনপি কার্যালয় তালাবদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : রাজধানী নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের চাবি পুলিশ নেতাদের বুঝিয়ে দিলেও তালাবদ্ধই রয়েছে কার্যালয়টি। নেতাকর্মীদের ভিড় নেই। সামনের ফুটপাথে দাঁড়িয়ে ছিলেন ছয় সাতজন বিএনপি কর্মী। কার্যালয়টির তালাবদ্ধ কলাপসিবল গেটের বাইরে থেকে দেখা গেছে, নিচতলায় এলোমেলোভাবে পড়ে আছে কয়েকটি প্লাস্টিকের চেয়ারসহ বেশকিছু সরঞ্জামাদি।

রোববার (১১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সরেজমিন এমন চিত্র দেখা গেছে। 

নয়াপল্টনজুড়ে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকলেও গত কয়েক দিনের মতো কাউকে তল্লাশি বা জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যায় নি।

গত বুধবার (৭ ডিসেম্বর) পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর কার্যালয়টির ভিতরে পুলিশ অভিযান চালানোর পর যেভাবে সবকিছু ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলো, ঠিক সেভাবেই আছে নিচতলার অবস্থা।

বিএনপি কার্যালয়ের ঠিক সামনে কোনও পুলিশ সদস্য না থাকলেও আশপাশে পুলিশের সতর্ক অবস্থান দেখা গেছে। বিজয়নগর নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে পল্টন থানা সংলগ্ন চার রাস্তার মোড় পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শতাধিক সদস্যকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। সংশ্লিষ্ট সড়ক দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করছিলো। সড়কের উভয়পাশের গাড়ির শোরুমসহ মার্কেট ও দোকানপাট খোলা ছিলো।

এদিকে বিএনপি কার্যালয়ের সামনের ফুটপাথে দাঁড়িয়ে থাকা ৬-৭ জনের মধ্যে সাজ্জাদ হোসেন নামে একজন জানান, তিনি বিএনপির কর্মী। গণমাধ্যমে বিএনপি অফিস খুলে দেওয়ার খবর শুনে তিনি কার্যালয়ের সামনে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘এসে দেখি পার্টি অফিস তালা মারা। নেতারাও কেউ আসেন নি। কিছুক্ষণ পর বাসায় ফিরে যাবো।’

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘আমরা ওনাদের (বিএনপি নেতা) কাছে চাবি দিয়ে দিয়েছি। বিএনপি কার্যালয়ে ঢুকতে নেতাকর্মীদের কোনও বাধা নেই। পুলিশ কাউকে বাধা দিচ্ছে না। বিএনপি কার্যালয সংলগ্ন সড়কও খুলে দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করছে।’

গত বুধবার নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে স্বেচ্ছাসেবক দলের মকবুল হোসেন নামে মিরপুরের এক স্থানীয় নেতা নিহত হন। পুলিশসহ আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।

সংঘর্ষের পর বিএনপি কার্যালয়ের ভেতরে অভিযান চালায় পুলিশ। কার্যালয় থেকে ১৫টি বোমা উদ্ধারের পর তা নিষ্ক্রিয় করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। সংর্ঘর্ষের সময় বিএনপির ৪ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গ্রেপ্তার হন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।