প্রয়োজনে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারাগারে পাঠানো হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রয়োজনে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারাগারে পাঠানো হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : চিনি উৎপাদনকারীদের নিয়মিত গ্যাস সরবরাহ দরকার বলে জানালেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ‘গ্যাস সরবরাহে সমস্যা হলে তারা আর কাজ করতে পারবে না। আমরা সবাই জানি, কোথাও কোনও না কোনও সমস্যা আছে।’

রোববার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আমদানি-রপ্তানিসহ সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগসংক্রান্ত বিষয়ে ‘বাণিজ্য সহায়ক পরামর্শক কমিটি’র এ সভায় সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

টিপু মুনশি বলেন, ‘আজকে সবকিছু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আরও ভালো করে দেখার জন্য আমরা চিন্তা করেছি। কিছু নির্ধারিত নির্দেশনা দিয়ে একটি সমন্বয় কমিটি করা হবে। খুব শিগগির এই কমিটি করা হবে।’

সাংবাদিকদের উদ্দেশে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখছেন, আমাদের ভোক্তা অধিকার বিভিন্ন জায়গায় হানা দিচ্ছে, জরিমানা করছে। এখন আমরা চিন্তা করছি, এর বাইরে যদি প্রয়োজন হয়, অসাধু ব্যবসায়ীদের কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংককেও একটা ক্রাইসিস সেল খোলার কথা বলা হয়েছে বলে জানান টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ‘এই সেল দেখবে, কোথায় কী সমস্যা হচ্ছে। কেননা, আমরা লক্ষ করছি, যতটা না সমস্যা, তার চেয়ে বেশি অপপ্রচার হচ্ছে।’

আগামী পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, গণমাধ্যমে এসেছে, ১০০টি ঋণপত্র (এলসি) বন্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও এ কথা বলেছে। এ দেশে প্রতিদিন হাজার হাজার এলসি হয়। ১০০টি এলসি বন্ধ হয়েছে অতিমূল্যের জন্য। ১০০টির খবর বেশি করে হলো। অথচ ৯০০টি যে ভালোভাবে হলো, সেটা কেউ প্রচার করলেন না।

চিনির দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও বাজারে ১২০ টাকা দরে চিনি বিক্রি হচ্ছে কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, ‘এ কথা ঠিক, বাজারে যারা ব্যবসায়ী, তারা ফেরেশতা নয়। কিন্তু আমরা যে দাম নির্ধারণ করে দিই, সেটা দিতে হবে, তা কিন্তু নয়। দাম কত হওয়া উচিত, সেটা আমরা নির্ধারণ করে দিই। তারপরও দেখি, কোথাও কোথাও কেউ চিনি নিয়ে সুবিধা নিয়েছে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘চিনির দাম যেটুকু বেশি আছে, সেটা কমে আসবে। আজ একটু কথা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে যিনি আসছেন, তাঁকে বলেছি, চিনির ওপর ডিউটি (রাজস্ব) যদি একটু কমানো যায় বা কনসিডার করা যায়, তাহলে দামের ওপর প্রভাব পড়বে বা দাম কমে যাবে।’

চিনি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে কি না, তা জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমদানি তো চালু আছে। বাজারে যা মজুত আছে, সেটা কোনো অবস্থায় দেশের জন্য বিপজ্জনক নয়। এখন সাধারণ মানুষ যাতে কম দামে চিনি পায়, সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।