প্রেমের টানে পরিবারসহ চাঁদপুরে মালয়েশিয়ান তরুণী।

প্রেমের টানে পরিবারসহ চাঁদপুরে মালয়েশিয়ান তরুণী।

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঙলা কাগজ; চাঁদপুর : প্রেম মানে না কোনও বাঁধা, মানে না ধনী-গরীব কিংবা ধর্ম-বর্ণ। প্রতিনিয়ত প্রেমের টানে অনেক তরুণ-তরুণী কিংবা যুবক-যুবতীকে পালিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে দেখা যায়। বর্তমানে বহু ভিনদেশি তরুণ-তরুণিকেও প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসে সংসার জীবন শুরু করতে দেখা গেছে। এরই অংশ হিসেবে শত শত মাইল পাড়ি দিয়ে প্রেমের টানে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এসে সংসার পাতলেন ২০ বছর বয়সী মালয়েশিয়ান এক তরুণী। তাঁর নাম নূর আয়েশা। তিনি ভালবাসার মানুষকে আপন করে নিতে মালয়েশিয়া থেকে এসে ওমর ফারুক নামে এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ধর্মীয় রীতি মেনেই তাঁদের বিয়ে হয়।

ওমর ফারুক চাঁদপুর সদর উপজেলার বড় শাহতলী এলাকার বাসিন্দা। বর্তমাসে তিনি হাজীগঞ্জ উপজেলার মকিমাবাদ পৌর এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাসায় ভাড়া থাকেন।

জানা গেছে, ওমর ফারুক চাকুরির সুবাধে মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন। সেখানে কর্মরত অবস্থায় ফেসবুকের মাধ্যমে আয়েশার সঙ্গে তাঁর পরিচয়। একপর্যায়ে তাঁদের দুজনের মধ্যে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। আর এভাবেই দীর্ঘ কয়েক বছর চলে তাঁদের প্রেম। নূর আয়েশা মালয়েশিয়ায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকুরিও করছেন। 

গত ৪ মাস আগে ওমর ফারুক দেশে চলে আসে। আর প্রেমের মানুষকে কাছে না পেয়ে গত বুধবার মা, বড় ভাই ও ভাবীকে নিয়ে নূর আয়েশা চলে আসেন বাংলাদেশে। পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে ওমর ফারুকের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন নূর আয়েশা। আর তাঁদের এই বিয়েতে খুশি উভয় পরিবারের সদস্যরা।

ওমর ফারুক বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘সত্যিকারের ভালবাসায় বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না কেউ। আমরা দুজন দুজনকে অনেক ভালবাসি। আমাদের ভালবাসা বিয়েতে রূপ নেওয়ায় আমরা অনেক খুশি।’

এই দম্পতি মালয়েশিয়ায় গিয়ে তাঁদের নতুন জীবন শুরু করতে চান বলে জানালেন নূর আয়েশা। তিনি বলেন, ‘আমার পড়াশোনা এখনো শেষ হয় নি। তা ছাড়া আমি একটি চাকুরি করছি। তাই আমরা মালয়েশিয়ায় গিয়ে নিজেদের ক্যারিয়ার সুন্দর করে গড়ে তুলতে চাই।’

এদিকে নতুন পুত্রবধূ পেয়ে মহাখুশি ওমর ফারুকের মা। 

তিনি বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘আমার পুত্রবধূ অল্প অল্প বাংলা বলতে পারে। তবে সে চেষ্টা করছে। আমি আমার পুত্রবধূকে পেয়ে অনেক খুশি। আমি চাই, তাঁরা ভালো থাকুক।’