প্রথম ডোজ বন্ধের আশঙ্কায় টিকা দিতে হুড়োহুড়ি। বহু আহত।

ডন প্রতিবেদন : আসছে ২৬ ফেব্রুয়ারির পর করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ বন্ধের আশঙ্কায় কেন্দ্রে কেন্দ্রে মানুষের ঢল নেমেছে। ঠেলাঠেলি আর হুড়োহুড়িতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। চট্টগ্রামে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হস্তক্ষেপ করতে হয় পুলিশকে। বেশিরভাগ জায়গায় উপেক্ষিত ছিলো স্বাস্থ্যবিধি। টিকা প্রত্যাশীদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম অবস্থা ছিলো স্বাস্থ্যকর্মীদের। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই কেন্দ্র কেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। টিকাকেন্দ্রের দরজা খোলা মাত্রই হুমড়ি খেয়ে পড়েন সবাই। ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ হেলথ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার কেন্দ্রে হুড়োহুড়ি ও বিশৃঙ্খলায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। এদিন টিকা নিতে আসা বেশিরভাগই ছিলেন পোশাকশ্রমিক। অনেকেই বলেছেন, ‘কয়েকদিন ধরেই আসছি। আজও এসে সারাদিন চলে গেলো।’ এদিকে, চট্টগ্রামে সিটি করপোরেশন জেনারেল হাসপাতালে প্রথম ডোজ নিতে আসেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। লাইনে না দাঁড়িয়ে কে কার আগে টিকা নেবেন, এতে শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা দিতে না পারায় বিক্ষোভও করেন অনেকে। এ সময় পুলিশের হস্তক্ষেপে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিকে, নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, প্রথম ডোজ ২৬ ফেব্রুয়ারির পর বন্ধ হয়ে যাবে, এটা ভুল তথ্য ছিলো। পরে সংশোধন হয়েছে। ২৬ তারিখে প্রথম ডোজের গণটিকা দেওয়া হবে। এরপরেও প্রথম ডোজ দেওয়া যাবে। এদিকে করোনার টিকা পাচ্ছেন বাগেরহাটের জেলেপল্লির মানুষও। লাইনে অপেক্ষা করতে হলেও ভ্যাকসিন পেয়ে খুশি তাঁরা। তাঁরা বলেন, আরও আগে যদি দেওয়া যেতো, তবে ভালো হতো। টিকা নেওয়ার পর নিজের ভেতর ভয়টা আর কাজ করে না। উল্লেখ করা যেতে পারে, ইতোমধ্যে অবশ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২৬ তারিখের পর দেশে আর করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ দেওয়া হবে না। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, আসছে ২৬ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে একযোগে ১ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হবে। প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন আমাদের প্রতিবেদক ও সংবাদদাতারা।