পুতিন-জেলনস্কির মধ্যস্থতা করাতে চান এরদোয়ান।

পুতিন-জেলনস্কির মধ্যস্থতা করাতে চান এরদোয়ান।
ডন প্রতিবেদন : রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লামিদির পুতিনেরসঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) কথা হয় এ দুই নেতার। আজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, তুর্কি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি জেলনস্কিরসঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্টকে কথা বলিয়ে দিতে চান। পুতিন-এরদোয়ান কথোপকথোনের পর এক বিবৃতিতে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এরদোয়ান পুতিনকে বলেছেন, কিছু বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে দুই নেতারমধ্যে কথা হওয়া জরুরি। দীর্ঘস্থায়ী একটি যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান আসতে পারে। পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে কেন্দ্র করে ২০০৮ সাল থেকেই দ্বন্দ্ব চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনেরমধ্যে। ওই বছরই ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করেছিলো পূর্ব ইউরোপের দেশটি। সম্প্রতি ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী সদস্যপদ’ হিসেবে মনোনীত করার পর এই দ্বন্দ্ব আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন প্রত্যাহারে ইউক্রেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে গত কয়েক মাস রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রেখেছিলো মস্কো। কিন্তু এই কৌশল কোনও কাজে আসে নি। উপরন্তু এই দু’মাসের প্রায় প্রতিদিনই যুক্তরাষ্ট্র ও তাঁর মিত্ররা অভিযোগ করে গেছে, যে কোনও সময় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রুশ বাহিনী। অবশেষে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দোনেস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। তার দু’দিন পর, ২৪ তারিখ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর নির্দেশ দেন ভ্লাদিমির পুতিন।