নড়াইলে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথ বেড়া দিয়ে বন্ধ করার অভিযোগ।

নড়াইলে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথ বেড়া দিয়ে বন্ধ করার অভিযোগ।
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলা কাগজ; উজ্জ্বল রায়, নড়াইল : নড়াইলের কালিয়ায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার রাস্তায় টিন ও বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ উঠেছে দাতা এক সদস্যের বিরুদ্ধে। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা পড়েছেন বিপাকে। জানা গেছে, এমন ঘটনা ঘটেছে পানিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে। এমন অবস্থায় গত ৪ এপ্রিল বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খন্দকার ইকরামুল করিম রাস্তাটি মুক্ত করতে কালিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের বিবরণে জানা গেছে, ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টিতে মোট ছয়জন দাতা ৫৪ শতাংশ জমি দান করেন। কিন্তু বর্তমানে মাত্র ১৪ শতাংশ জমি বিদ্যালয়ের আওতাধীন রয়েছে। বাকি জমি দাতাদের ভোগদখল আছে। বিদ্যালয়টিতে যাওয়া-আসার জন্য এর দক্ষিণ পাশ দিয়ে দাতা সদস্য পানিপাড়া গ্রামের মৃত বাবন ঠাকুরের ছেলে মতিয়ার রহমান ঠাকুরের বাড়ির সামনে দিয়ে একটি রাস্তা ছিলো। আরও জানা গেছে, করোনার প্রভাবে গত প্রায় ২ বছর ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্ধ থাকার সুযোগে মতিয়ার রহমান স্কুলে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তার উপর টিন ও বাঁশের বেড়া তৈরি করে সেটি বন্ধ করে দিয়েছেন। যে কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি বসতবাড়ির ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বর্তমানে ওই বাড়ির মালিকের আপত্তির কারণে সেটিও বন্ধ হওয়ার উপক্রম। সবমিলিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্কুলে প্রবেশের সব প্রায় পথ বন্ধ হয়ে গেছে বলেই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খন্দকার ইকরামুর কবির বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, স্থানীয়ভাবে রাস্তাটি মুক্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে অভিযোগ করেছি। স্কুলের পাশের একটি বাড়ির ওপর দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে চলাফেরা করছি। ওই বাড়ির মালিকের পক্ষ থেকেও আপত্তি করা হয়েছে। বর্তমানে স্কুলটি অচল হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। অভিযুক্ত মতিয়ার রহমান ঠাকুর বাঙলা কাগজ ও ডনকে জানান, স্কুলের রাস্তাটি তাঁর ব্যক্তি মালিকানাধীন। জমির ওপর দিয়ে হওয়ার কারণে তিনি সেটিকে বন্ধ করে দিয়েছেন। প্রয়োজনে অন্য জায়গা দিয়ে স্কুলের রাস্তা নির্মাণে তিনি সহযোগিতা করবেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুল ইসলাম বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুতই বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।