নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে কাজ করতে দেওয়া হবে না : মেয়র আতিক।

নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে কাজ করতে দেওয়া হবে না : মেয়র আতিক।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় চলমান উন্নয়ন প্রকল্প দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সভায় নিরাপত্তার ঘাটতি নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। উত্তরায় চলন্ত প্রাইভেট কারের ওপর গার্ডার পড়ে পাঁচজনের প্রাণহানির পর সপ্তাহ না যেতেই গাজীপুরে গাড়ির ওপর রড পড়েছে। এতে ক্ষুব্ধ মেয়র বলেছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে কোনও প্রকল্পে কাজ করতে দেওয়া হবে না।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের হুঁশিয়ার করে আতিকুল ইসলাম বলেছেন, এখন থেকে নির্মাণ প্রকল্পের নিরাপত্তা দেখতে নিজেই যাবেন। সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেটও থাকবেন। কোনও অনিয়ম পাওয়া গেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

১৫ আগস্ট এক বউভাতের অনুষ্ঠান শেষে বর-কনে ও তাঁদের স্বজনেরা প্রাইভেট কারে করে ঢাকার কাউলা থেকে আশুলিয়ার বাসায় ফিরছিলেন। উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরে তাঁদের প্রাইভেট কারের ওপর বিআরটি প্রকল্পের গার্ডার পড়ে। দুজন গাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রাণে বেঁচে গেছেন। তবে সাড়ে তিন ঘণ্টার বেশি সময় পরে গাড়ির ওপর থেকে গার্ডার সরিয়ে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনা সারা দেশের মানুষকে ব্যাপকভাবে নাড়া দেয়। এরপর রোববার (২১ আগস্ট) গুলশান-২ নম্বরে ঢাকা উত্তর সিটির নগর ভবনে ‘চলমান উন্নয়ন প্রকল্পে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক সমন্বয় সভায় বসেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

এখন থেকে ‘নো সেফটি, নো ওয়ার্ক’ নীতি অনুসরণ করা হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘নিরাপত্তা কাগজে-কলমে নয়, বাস্তবে নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি প্রকল্পের ঠিকাদারকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই কাজ করতে হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।’

উন্নয়নকাজের ক্ষেত্রে সবার আগে জনগণের নিরাপত্তার কথা ভাবতে হবে বলে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘যাঁরা ভারী কাজ করবে, বিশেষ করে যাঁরা ক্রেন চালাবে, তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা, এমনকি ডোপ টেস্টও করাতে হবে।’

গত শনিবারও গাজীপুরে বিআরটি প্রকল্পের কাজে একটি প্রাইভেট কারের ওপর রড পড়ার কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘এসব ঘটনায় সরকার বিব্রত। একটি করে দুর্ঘটনা ঘটে, আমরা বিব্রত হই, সরকার বিব্রত হয়। গতকালও গাজীপুরে গাড়ির ওপর রড পড়েছে। আমাদের এখনো টনক নড়ে নি, আর কতো প্রাণ গেলে টনক নড়বে?’

সভায় উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম মনির হোসেন পাঠান। তিনি বলেন, ‘ওই তারিখে (১৫ আগস্ট) কোনও অবস্থাতেই কাজ হওয়ার কথা ছিলো না। কোনও পরামর্শকের উপস্থিতিও ছিলো না। বিভাগের সবার প্রতি ১৫ আগস্টের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার নির্দেশনা ছিলো। তাহলে প্রশ্ন আসে যে কাজটি কীভাবে হলো?’