দক্ষিণ চীন সাগরে মুখোমুখি মার্কিন ও চীনা যুদ্ধজাহাজ।

দক্ষিণ চীন সাগরে মুখোমুখি মার্কিন ও চীনা যুদ্ধজাহাজ।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : দক্ষিণ চীন সাগরে মুখোমুখি অবস্থানে গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনা যুদ্ধজাহাজ। এর মধ্যেই তাইওয়ান প্রণালিতে সামরিক মহড়া শুরু করেছে বেইজিং। এদিকে বহুল আলোচিত এশিয়া সফর শুরু করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তাঁর দপ্তর থেকে এশিয়ার ৪ দেশ সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করা হলেও তাইওয়ান সফরের বিষয়ে কিছু জানানো হয় নি। খবর দ্য টাইমসের।

মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে রীতিমতো যুদ্ধাবস্থা দেখা দিয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে মার্কিন ও চীনা যুদ্ধজাহাজ।

সফরকালে পেলোসি তাইওয়ান যেতে চাইলে তাঁর বিমান ভূপাতিত করার হুমকি দিয়েছে চীন। তাঁর এশিয়া সফর শুরুর মুহূর্তে হঠাৎ করে তাইওয়ান প্রণালিতে সামরিক মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং। তাইওয়ানের সবচেয়ে কাছের ফুজিয়ান প্রদেশে রোববার (৩১ আগস্ট) ব্যাপক আকারে মহড়া চালায় পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)।

জানা গেছে, পিংতান, জিয়ামেনসহ ফুজিয়ানের কয়েকটি উপকূলীয় শহরে ভারি অস্ত্র ও সৈন্য সমাবেশ করেছে চীন। এর মধ্যে পিংতান থেকে তাইপের দূরত্ব ১২৫ কিলোমিটার। জিয়ামেন থেকে তাইওয়ান-নিয়ন্ত্রিত কিনমেন দ্বীপের দূরত্ব ২৪ কিলোমিটার।

চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি পিএলএর মুখপাত্র বলেন, নিজেদের সার্বভৌমত্ব এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে নিয়মিত সামরিক মহড়ার অংশ হিসেবেই এ তৎপরতা।

পিপলস লিবারেশন আর্মির মুখপাত্র শেন জিংকে বলেন, ‘দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপ চীনের অংশ। নিজ দেশের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতা ধরে রাখতে যে কোনও ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার চীনের রয়েছে। এ অঞ্চলে কোনও ধরনের আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বরদাশত করা হবে না।’

চীনের এমন পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন আইন প্রণেতারা। পেলোসির সফরকালে দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থান করবে মার্কিন রণতরি ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যান।

মার্কিন স্পিকারের দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ন্যান্সি পেলোসি সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান সফরসহ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যদিও এই দেশগুলোর বাইরে পেলোসি অন্য কোথাও যাবেন কি-না, সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছুই জানানো হয় নি। এতে তাইওয়ান সফর নিয়ে ধোঁয়াশা শুরু হয়েছে।

উচ্চপদস্থ মার্কিন কর্মকর্তাদের তাইওয়ান সফর স্বশাসিত দ্বীপটির স্বাধীনতাপন্থীদের উৎসাহ দেয় বলে মনে করে চীন। ওয়াশিংটনের সঙ্গে তাইওয়ানের কোনও আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটিকে অস্ত্রসহ সব ধরনের সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।