তথ্যমন্ত্রী : দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছুতে জননেত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই

তথ্যমন্ত্রী : দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছুতে জননেত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই
বাসস : দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছুতে জননেত্রী শেখ হাসিনার কোনও বিকল্প নেই বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রগতিশীল সাংবাদিক মঞ্চ আয়োজিত ‘উন্নয়নের নেত্রী শেখ হাসিনা’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার আজকে ৭৫তম জন্মদিন। প্রধানমন্ত্রী নিজে জন্মদিন পালন করেন না। আমরাই তাঁর জন্মদিন পালন করি। আজকের এইদিনে মহান স্রষ্টার কাছে আমার প্রার্থনা, তার শততম জন্মদিনেও যেনো তিনি এই পৃথিবীতে থাকেন এবং দেশের মানুষ তাঁকে নিয়ে যেনো তাঁর শততম জন্মদিন পালন করতে পারেন।’ ‘আজকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের পথে তাঁরই সুযোগ্যকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। যে স্বপ্নে আমাদের পূর্বসূরিরা তাঁদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমাদের এই বাংলাদেশ রচনা করে গেছেন, বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের জন্ম দিয়ে গেছেন, লাল সূর্য খচিত সবুজ পতাকার জন্ম দিয়ে গেছেন, সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন করতে হলে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দরকার,’ বলেন ড. হাছান মাহ্‌মুদ। ড. হাছান বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার সংগ্রাম, ধৈর্য্য এবং অসাধারণ গুণাবলীর কারণে, সমস্ত প্রতিকূলতারমধ্যেও ধীরস্থির থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অসামান্য ক্ষমতার কারণে আজকে বাংলাদেশে জননেত্রী শেখ হাসিনার কোনও বিকল্প নেই। দেশে জননেত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজেই।’ ‘বাংলাদেশ আজ বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বদলে গেছে, স্বল্পন্নোত থেকে মধ্যম আয়ের, খাদ্যঘাটতি থেকে খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে,’ বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশে গত সাড়ে ১২ বছরে দারিদ্র্য ৪০ শতাংশ থেকে কমে অর্ধেকে অর্থাৎ ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। আজকে বাংলাদেশ পৃথিবীর সামনে একটি মর্যাশীল রাষ্ট্র। ‘করোনাকালে অনেকে অনেক শঙ্কা-আশঙ্কার কথা বলেছিলো যে দেশে মানুষের লাশ রাস্তায় পড়ে থাকবে, অনাহারে হাজার হাজার মানুষের জীবনহানি হবে’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যেসব বুদ্ধিজীবী এ সমস্ত কথা বলেছেন, তাদের অনেকেই ভুলেও ফকিরকে দুটি টাকা দেন না। অনেক আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব যাঁরা বড় বড় পুরস্কার পেয়েছেন, তাঁদেরকেও এই করোনাকালে দেখা যায় নাই, খুঁজে পাওয়া যায় নাই। অনেকে অনেক এনজিও করেন তাঁদেরকেও এই করোনাকালে খুঁজে পাওয়া যায় নাই, দেখা যায় নাই। অথচ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তাঁর সরকার জনগণের পাশে থেকেছে বিধায় এই করোনাকালে বাংলাদেশে একজনও না খেয়ে মৃত্যুবরণ করে নি।’ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি সময় পান নি বিধায় সেটি সম্ভবপর হয় নি। বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন স্বাধীনতার ১০ থেকে ১৫ বছরেরমধ্যেই বাংলাদেশ একটি উন্নতসমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরিত হতো।’ মন্ত্রী হাছান বলেন, এই করোনারমধ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন যে, গৃহহীনদের ঘর করে দেবেন এবং এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ৩ লাখ পরিবারকে ঘর করে দেওয়ার পরিকল্পনা সরকার করেছে। ইতোমধ্যেই প্রায় দেড় লাখ মানুষকে ঘর দেওয়া হয়েছে। সুতরাং এই করোনারমধ্যেও দেশ আজকে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ডিবিসি২৪ চ্যানেলের চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী, দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন, দি ডেইলি সান সম্পাদক ও পিআইবি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এনামুল হক চৌধুরী প্রমুখ।