ঢাবির ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় এক আসনে ৬৩ জন।

ঢাবির ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় এক আসনে ৬৩ জন।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন এক আসনে ৬৩ জন করে শিক্ষার্থী।

শুক্রবার (১০ জুন) বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের আট বিভাগীয় শহরের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একযোগে এ পরীক্ষা হয়।

এই ইউনিটে ১ হাজার ৮৫১ আসনের বিপরীতে আবেদন করেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৭০৮ শিক্ষার্থী।

‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার নম্বর ১২০। এর মধ্যে এমসিকিউর জন্য ৬০, আর লিখিত বা বর্ণনামূলকের জন্য ৪০ নম্বর। বাদবাকি ২০ নম্বর ছিলো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফলের ওপর।

এমসিকিউর জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত বা বর্ণনামূলকের জন্য একই সময় বরাদ্দ ছিলো।

‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ অনুষদ ও পাঁচ ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি নেওয়া হয়। অনুষদগুলো হলো বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ফার্মেসি, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদ।

আর ইনস্টিটিউটগুলো হলো : পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট।

এর আগে গত শুক্রবার (৩ জুন) ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিট এবং পরদিন কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হয়। 

শনিবার (১১ জুন) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিট আর ১৭ জুন চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের সাধারণ জ্ঞান পরীক্ষা হবে।

ঢাবির ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করেন প্রায় ২ লাখ ৯০ হাজার ৩৪৮ জন শিক্ষার্থী। এবার প্রতিষ্ঠানটিতে ভর্তিতে আসনসংখ্যা ৬ হাজার ৩৫ জন। অর্থাৎ প্রতি আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৮ জন করে।

এ বছর সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়ে ‘ক’ ইউনিটে। আর সবচেয়ে কম আবেদন পড়ে ‘চ’ ইউনিটে।

সবমিলিয়ে আসনপ্রতি সবচেয়ে বেশি ‘ক’ ইউনিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলেও সবচেয়ে কম হয় ‘খ’ ও ‘গ’ ইউনিটে।

উল্লেখ করা যেতে পারে, ‘ক’ ইউনিটে আসনপ্রতি প্রার্থী ছিলেন ৬৩ জন। অন্যদিকে ‘খ’ ও ‘গ’ ইউনিটে ছিলেন ৩৩ জন। আর ‘ঘ’ ইউনিটে ৫৮ জন এবং ‘চ’ ইউনিটে লড়বেন ৫৬ জন করে শিক্ষার্থী।