জিহাদি হামলায় ১১ মিশরীয় সেনা নিহত।

জিহাদি হামলায় ১১ মিশরীয় সেনা নিহত।
বাসস : জিহাদি কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থল সিনাই উপদ্বীপে সুয়েজ খাল অঞ্চলে ‘সন্ত্রাসী’ হামলা মোকাবিলার সময় শনিবার (৭ মে) ১১ জন মিশরীয় সেনার প্রাণহানি হয়েছে। ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর অনুগত জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সিনাই ও আশেপাশের এলাকায় গত বেশ কয়েক বছরের মধ্যে এটি হচ্ছে সেনাবাহিনীর সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা। খবর এএফপি’র। সেনাবাহিনী বলেছে, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং সিনাইয়ের একটি বিচ্ছিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনী তাদের ঘিরে রেখেছে। খালের পূর্ব তীরে লড়াইয়ে ৫ সৈন্য আহত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ফেসবুকে বলেছেন, সন্ত্রাসীদের হামলা কারণে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার জন্য দেশ ও সেনাবাহিনীর সংকল্প পরাজিত হবে না। ওয়াশিংটন মিশরীয় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে সিনাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় মিশরের শক্তিশালী অংশীদার ছিলো এবং রয়ে গেছে।’ মিশরের সিনাই উপদ্বীপ গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সশস্ত্র বিদ্রোহের কবলে পড়েছে, যা ২০১৩ সালে প্রয়াত ইসলামপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে তীব্র হয়ে উঠে। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে, সেনাবাহিনী ও পুলিশ উত্তর সিনাইকে কেন্দ্র করে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী অভিযান শুরু করে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অভিযান শুরুর পর থেকে এক হাজারেরও বেশি সন্দেহভাজন জঙ্গি ও কয়েক ডজন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছে। নভেম্বরে, মিশর আইএস জঙ্গিদের দমন করতে সীমান্ত শহর রাফাহ ঘিরে তার সৈন্য সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্মত হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রতিবেশি ইসরায়েল এবং জর্ডানে মিশরীয় তেল ও গ্যাস বহনকারী পাইপলাইনগুলো বিদ্রোহীদের আক্রমণের প্রাথমিক লক্ষ্যবস্তু হয়েছে।