খয়েরি হারাতে লাল-সবুজের লক্ষ্য এখন ১৪৩

খয়েরি হারাতে লাল-সবুজের লক্ষ্য এখন ১৪৩
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাংলা কাগজ : ১৪৩ কিন্তু ভালোবাসার প্রতীক। অনেকে বলেন আই লাভ ইউ। মানে আই একটি শব্দ, লাভ চারটি শব্দ এবং ইউ তিনটি শব্দ। আর এমন ভালোবাসার লক্ষ্যই পেলো বাংলাদেশ। টস হেরে অবশ্য ব্যাট করতে নেমে শুরুতে রান করতে ব্যর্থ হলেও ইনিংসের একদম শেষদিকে পাওয়ার হিটিংয়ের পসরা সাজিয়ে বসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মূলত নিকোলাস পুরানের ২২ বলে ৪০ রানের ইনিংসে ভর করে ১৪২ রানের সংগ্রহ পায় ক্যারিবিয়ানরা। শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দলীয় ১২ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নে ফেরেন ওপেনার এভিন লুইস। মুস্তাফিজের বলে স্কয়ার লেগে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ তুলে দেন লুইস। ব্যক্তিগত ৬ রানে ফেরেন তিনি। লুইসের বিদায়ের পর আরেক ওপেনার ক্রিস গেইলও বেশিক্ষণ টিকতে পারেন নি। পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। মাহেদী হাসানের অফ স্ট্যাম্প ববাবর করা বল ভিতরে ঢুকে গেলে বোল্ড হয়ে ফেরেন গেইল। দলীয় ১৮ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪ রানে ফেরেন তিনি। দ্রুতই দুই ওপেনার প্যাভিলিয়নে ফেরায় পাওয়ার প্লেতে মাত্র ২৯ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ সময়ে ১৭টি ডট বলে খেলে ক্যারিবিয়ানরা। ৭ম ওভারের তৃতীয় বলে বোলার মাহেদীর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েও বেঁচে যান রোস্টন চেজ। তবে পরের বলেই লং অফে সৌম্যর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ম্যাচে মাহেদীর দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন শিমরন হেটমায়ার। ব্যক্তিগত ৯ রানে ফেরেন তিনি। দশম ওভারে ম্যাচে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আসেন সাকিব আল হাসান। নিজের প্রথম ওভারে মাত্র ৩ রান দেন। বাংলাদেশি বোলারদের চাপের মুখে পাওয়ার প্লের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে প্রত্যাশিত রান স্কোর বোর্ডের যোগ করতে পারে নি ক্যারিবিয়ানরা। দশ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১০ ওভারে ৪৮ রান। দশ ওভার শেষে ২৬ বলে ১৯ রান করেছিলেন অভিষিক্ত রোস্ট চেজ এবং অধিনায়ক পোলার্ড করেছিলেন ৮ বলে ৩ রান। ৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসা দলকে উদ্ধারে চেষ্টা করেন দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার কাইরন পোলার্ড এবং রোস্টন চেজ। দুইজন মিলে গড়ে তোলেন ৩০ রানের জুটি। ম্যাচের ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আম্পায়ারের কাছে উইকেটের জোরালো আবেদন জানায় বাংলাদেশ। আম্পায়ার সাড়া না দেওয়ায় রিভিউ নেন টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে সে রিভিউ বাংলাদেশের পক্ষে আসেনি। বল লাইনে না থাকায় আউট হন নি প্রতিপক্ষ অধিনায়ক পোলার্ড। এরপরের বলেই আউট না হয়েও প্যাভিলিয়নে ফিরে যান পোলার্ড। প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ার আগে ব্যাট হাতে রান করতে বেশ সংগ্রাম করছিলেন অধিনায়ক পোলার্ড। সম্ভবত এ কারণেই মাঠ ছাড়েন তিনি। প্যাভিলিয়নে ফেরার সময় ১৭ বলে ৯ রান করেন তিনি। পোলার্ডের বিদায়ের পরের বলেই ফেরেন আরেক অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। অবশ্য কোনো বল খেলেই রান আউটের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। রোস্টন চেজের করা শট বোলার তাসকিনের পায়ে লেগে স্ট্যাম্পে আঘাত করে। এ সময় পপিং ক্রিজের বাইরে থাকায় ডায়মন্ড ডাক নিয়েই রাসেলকে ফিরতে হয় প্যাভিলিয়নে। টানা দুই বলে অধিনায়ক পোলার্ড এবং অভিজ্ঞ রাসেল ফিরে গেলে দলের হাল ধরেন তরুণ নিকোলাস পুরান এবং অভিষিক্ত রোস্টন চেজ। তাদের ব্যাটে ক্যারিবিয়ানদের স্কোরবোর্ডে কিছুটা গতি ফিরে আসে। দুইজন মিলে গড়ে তোলেন ৫৭ রানের জুটি। এ জুটি ভাঙেন বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। ২২ বলে ৪৪ রান করা পুরানকে কাভার অঞ্চলে নাঈমে ক্যাচে পরিণত পরেন। পরের বলেই ফিরে যান শুরু থেকে দলকে টেনে নিয়ে আসা রোস্টন চেজ।