কোরবানির মাংস ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষ : আহত অর্ধশতাধিক।

কোরবানির মাংস ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষ : আহত অর্ধশতাধিক।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলা কাগজ; কুলেন্দু শেখর দাস, সুনামগঞ্জ : কোরবানির পশুর মাংস ভাগাভাগি নিয়ে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর ও হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। সোমবার (১১ জুলাই) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জগন্নাথপুরের গোতগাঁও গ্রামের যুক্তরাজ্যপ্রবাসী শাহীন মিয়া যুক্তরাজ্যের একটি দাতব্য সংস্থার মাধ্যমে গোতগাঁও গ্রামের একটি মাদরাসায় কোরবানির জন্য ৩৫টি গরু দেন। গরুগুলোর মাংস ভাগাভাগি নিয়ে জগন্নাথপুরের পাইলগাঁও ইউনিয়নের গোতগাঁও গ্রামের শামীম মিয়া ও নবীগঞ্জের উমরপুর গ্রামের আহসান মিয়াসহ দুই গ্রামের কয়েকজনের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। একপর্যায়ে গতকাল বিকেলে দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় গ্রামের অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। আহত ব্যক্তিদের জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নবীগঞ্জ উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

গুরুতর আহত জীবন মিয়া (১৭), সূর্য বেগম (৫৫), আলতাব উদ্দিন (৫৬), আবদুল মনাফ (২২), আবদুল খালিছ (৪০), আহসান উদ্দিন (৫০) ও আনাছ উদ্দিনকে (৪৫) সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর ও নবীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সুনামগঞ্জের সহকারি পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ সার্কেল) শুভাশীষ ধর বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, কোরবানির পশুর মাংস ভাগাভাগি নিয়ে দুই উপজেলার প্রতিবেশি দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উভয়পক্ষের আহত ব্যক্তিদের জগন্নাথপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।