কুমিল্লা চকবাজারের ইয়াবা ব্যবসায়ী আলী আহাম্মদ বেপরোয়া
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : কুমিল্লার চকবাজারের আটিকলা পানির ট্যাঙ্কি এলাকায় ইয়াবা ব্যবসা করা আলী আহাম্মদ বেপরোয়া হয়ে পড়েছেন। তিনি ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে চাঁদাবাজি এবং ছিনতাইও শুরু করেছেন। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে মানুষকে মারধরের অভিযোগও উঠেছে। চকবাজারের আটিকলা পানির ট্যাঙ্কির ঠিক উল্টোপাশের মুদি দোকানটির মালিক বিল্লাল মিয়ার ভাই তিনি। তবে খোঁজ নিয়ে যতোদূর জানা গেছে, আলী আহাম্মদের ইয়াবা ব্যবসায় বিল্লাল মিয়া এবং তাঁর পরিবারের কারোরই সম্মতি নেই।
ইয়াবা ব্যবসা, চাঁদাবাজি এবং ছিনতাইয়ের ব্যাপারে জানার জন্য ফোন দিলে বুধবার (১৯ জুলাই) সকাল ১১টা ১৯ মিনিটে আলী আহাম্মদের মোবাইল খোলা পাওয়া গেলেও পরে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, চকবাজারের আটিকলা পানির ট্যাঙ্কি থেকে অল্প একটু উত্তর দিকে গিয়ে বামদিকের রাস্তা দিয়ে ঢুকে ভাঙারি ব্যবসায়ীদের দক্ষিণ এবং উত্তর দিকে (পুকুর পাড়ে) ইয়াবা ব্যবসা করেন আলী আহাম্মদ। এক্ষেত্রে তিনি ২ থেকে ৩ জন ছেলের মাধ্যমেও ইয়াবা বিক্রি করে থাকেন। ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে অপরাধ করার পর তার সবচেয়ে বড় অপরাধ- তিনি হাড়ভাঙা পরিশ্রমী ভাঙারি ব্যবসায়ী এবং আশেপাশের দোকান থেকেও মাসিক হারে চাঁদা নিয়ে থাকেন এবং ছিনতাই করেন ও করান। একইসঙ্গে তিনি ছিনতাই করতে গিয়ে মানুষকে মারধরও করেন। আর কেউ রাতের বেলায় পুকুরঘাটে গিয়ে বসলে, তাঁকে ফুসলিয়ে বিভিন্নভাবে তাঁর কাছ থেকে টাকা আদায় করেন এবং ওই ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা পুকুরঘাটে একটু বেশি সময় ধরে বসলে, তাঁকে বা তাঁদেরকে বিপদে ফেলে মোবাইল ও ব্রেসলেটের মতো জিনিসপত্র রেখে দেন। এক্ষেত্রে আলী আহাম্মদের সঙ্গে থাকা লোকজন ওই ব্যক্তি বা ব্যক্তিদেরকে বিপদে ফেলতে সহায়তা করেন এবং তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল, মানিব্যাগ এবং ব্রেসলেটের মতো জিনিসপত্রগুলো রেখে দেন। সার্বিকভাবে ইয়াবা ব্যবসায়ী আলী আহাম্মদ চরম বেপরোয়া হয়ে পড়েছেন। তার অত্যাচার থেকে যতোদ্রুত সম্ভব নিস্তার চেয়েছেন এলাকাবাসী। অন্যথায় সেখানে হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনাও ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। কারণ আলী আহাম্মদ এবং তার সঙ্গে থাকা লোকজনের সঙ্গে সব সময়ই ছুরি এবং চাকু থাকে। আর তারা অনেক বেপরোয়া হয়ে পড়েছেন।