আজ শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা

আজ শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা
ডন প্রতিবেদন : আজ বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা। হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব এটি। কার্তিক মাসের অমবস্যা তিথিতে শ্যামা পূজা বা কালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। হিন্দু পূরাণমতে, দেবী দুর্গারই একটি শক্তি কালী। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালী পূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়ের মধ্যেই রয়েছে কালীপূজার মাহাত্ম্য। কালী দেবী তাঁর ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্য মা, তারা মা, চামুণ্ডি, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়াসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত। কালী পূজার দিন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের বাড়িতে ও শ্মশানে সন্ধ্যা থেকেই প্রদীপ জ্বালানো হয়। এরমধ্য দিয়ে তাঁরা স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদেরও স্মরণ করেন। এই আনুষ্ঠানিকতাকে বলা হয় দীপাবলী। দুর্গাপূজার মতো কালীপূজাতেও বাড়িতে বা মণ্ডপে মৃন্ময়ী প্রতিমা নির্মাণ করে পূজা করা হয। মন্দিরে বা গৃহে প্রতিষ্ঠিত প্রস্তরময়ী বা ধাতুপ্রতিমাতেও কালীপূজা করা হয়। মধ্যরাত্রে তান্ত্রিক পদ্ধতিতে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। দেবীকে ছিন্নমস্তকসহ বলির পশুর রক্ত, মিষ্টান্ন, অন্ন বা লুচি, মাছ ও মাংস উৎসর্গ করা হয়। তবে গৃহস্থ বাড়িতে সাধারণত অতান্ত্রিক ব্রাহ্মণ্যমতে আদ্যাশক্তি কালীর রূপে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, কালী শ্মশানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। এই কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে শ্মশানে মহাধুমধাম করে শ্মশানকালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ, সিদ্বেশ্বরী কালী মন্দির, সবুজবাগ থানাধীন শ্রী শ্রী বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির, পুরান ঢাকার ঐতিহাসিক ৮৪ নম্বর বনগ্রাম রোডে রাধাগোবিন্দ জিঁও ঠাকুর মন্দির, পোস্তাগোলা মহাশ্মশান, রামকৃষ্ণ মিশন, ঢাকেশ্বরী বাড়ি, সূত্রাপুরের বিহারীলাল জিঁও মন্দির, গৌতম মন্দির, রামসীতা মন্দির, ঠাটারি বাজারে শিব মন্দির, তাঁতী বাজার, শাখারী বাজার, বাংলা বাজার লক্ষী বাজারসহ দেশের বিভিন্ন মণ্ডপ ও মন্দিরে শ্যামা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।