আজ গোলাম সারওয়ারের ৮১তম জন্মদিন

আজ গোলাম সারওয়ারের ৮১তম জন্মদিন

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : দেশবরেণ্য সাংবাদিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সমকালের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক প্রয়াত গোলাম সারওয়ারের ৮১তম জন্মদিন আজ শনিবার (পহেলা এপ্রিল)। ১৯৪৩ সালের ১ এপ্রিল তিনি বরিশালের বানারীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। দেশের আধুনিক সংবাদপত্রের অন্যতম কারিগর বলা হয় তাঁকে। দৈনিক ইত্তেফাকের তিন দশকের বার্তা সম্পাদক গোলাম সারওয়ার দৈনিক যুগান্তরেরও প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। সমকালের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত অবস্থায় ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট ৭৫ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

দেশের সাংবাদিকতার প্রতিষ্ঠানতুল্য ব্যক্তিত্ব গোলাম সারওয়ার ষাটের দশকে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। সেই থেকে টানা পাঁচ দশকের বেশি সময় তিনি এ পেশায় মেধা, যুক্তিবোধ, পেশাদারিত্ব, দায়িত্বশীলতা, অসাম্প্রদায়িক চিন্তাচেতনার নিরবচ্ছিন্ন চর্চায় নিজেকে এবং বাংলাদেশের সংবাদপত্রকে অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি মুক্তচিন্তা, প্রগতিশীল মূল্যবোধ আর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন আজীবন। সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের জন্য তিনি পেয়েছেন সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক।

গোলাম সারওয়ার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক সম্মানসহ এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় ১৯৬২ সালে চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদীর বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা হিসেবে তাঁর সাংবাদিকতা পেশার সূচনা। একই বছর দৈনিক সংবাদে সহসম্পাদক হিসেবে যুক্ত হন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত সংবাদে কর্মরত ছিলেন। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধের পর কয়েক মাস বানারীপাড়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশনে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালে দৈনিক ইত্তেফাকে জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক হিসেবে যুক্ত হন। ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত যথাক্রমে প্রধান সহসম্পাদক, যুগ্ম বার্তা সম্পাদক ও বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

গোলাম সারওয়ার ছিলেন এ দেশের সংবাদপত্রের সাফল্য ও পেশাদারিত্বের প্রতীক। তিনি বাংলাদেশের দৈনিক সংবাদপত্রগুলোর সম্পাদকদের সংগঠন বাংলাদেশ সম্পাদক পরিষদেরও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।

প্রয়াত এই সম্পাদকের পরিবারের পক্ষ থেকে আজ শনিবার বাদ আসর রাজধানীর মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হবে। তাঁর জামাতা মিয়া নাঈম হাবীব জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে বরিশালের বানারীপাড়ায় গ্রামের বাড়িতে তাঁকে স্মরণ, শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে এতিমদের মধ্যে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করার কর্মসূচিও রয়েছে।