আইন অমান্য করে অ-গভীর মটর স্থাপনের অনুমতি!

আইন অমান্য করে অ-গভীর মটর স্থাপনের অনুমতি!
ডন প্রতিবেদক, রাম জোয়ার্দার, কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) : আইন অমান্য করে অ-গভীর মটর স্থাপনের অনুমতি দেওয়ায় পৃথক ৪ দপ্তরে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। বিএডিসির কোটচাঁদপুর ইউনিটের উপ-সহকারি প্রকৌশলী আব্দুল আল মামুনের বিরুদ্ধে তাঁদের এ অভিযোগ। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সংশ্লিষ্টরা। ভুক্তভোগি সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘কোটচাঁদপুর উপজেলার ফুলবাড়ি দক্ষিণ পাড়া মাঠে আমার একটা অগভীর মটর রয়েছে। নিয়ম আছে, একটা অগভীর মটর থেকে অন্য মটরের দুরত্ব হবে ৮ শ গজ। এক্ষেত্রে ওই নিয়ম মানা হয় নি। অভিযোগ রয়েছে, বিএডিসির কোটচাঁদপুর ইউনিটের উপ-সহকারি প্রকৌশলী আব্দুল আল মামুন ৮ শ গজেরমধ্যে আরেকটি মটর স্থাপনের অনুমতি দিয়েছেন ওই গ্রামের জসিম উদ্দিন নামের এক চাষির। জানা গেছে, এর ফলে পরিবেশের যেমন ভারসাম্য নষ্ট হবে। এদিকে ওই মটর সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কোটচাঁদপুর থানায় পৃথক অভিযোগ করেছেন ফরিদা ইয়াসমিন নামের একজন। তিনি বাঙলা কাগজ ও ডনকে জানান, তাঁর জমির উপর দিয়ে জোরপূর্বক বিদ্যুতের পোল বসানো হয়েছে। এতে করে জমির বেশ ক্ষতি সাধিত হয়েছে। তবে এ ব্যাপারেও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় হতাশ হয়েছে ওই ভুক্তভোগী। এ ব্যাপারে বিএডিসি কোটচাঁদপুর ইউনিটের উপ-সহকারি প্রকৌশলী আব্দুল আল মামুন বাঙলা কাগজ ও ডনের কাছে দাবি করেন, ‘আমি লাইসেন্স দেওয়ার মালিক না। লাইসেন্স দিয়ে থাকেন সেচ কমিটির সভাপতি।’ ‘আমি কাগজপত্র তৈরি করে সাবমিট করে থাকি। আর আমার উপর পুরো ঝিনাইদহের দায়িত্ব রয়েছে।’ বিষয়টির ব্যাপারে জানতে চাইলে কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সেচ কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, আমাদের সেচ কমিটির সভা হয়েছে। সভায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সব কিছু ঠিকঠাক করতে বলা হয়েছে। এরপরও যদি কোনও অভিযোগ থাকে, তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।