অনেক দেশের জন্য ভারতের জি-২০ প্রেসিডেন্সি আশার আলো : হর্ষবর্ধন শ্রিংলা
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব এবং বর্তমানে জি-২০ প্রেসিডেন্সির প্রধান সমন্বয়কারী হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, অনেক দেশ ভারতকে অগ্রগতির আশার রশ্মি দিয়ে দেখছে, কারণ তাঁরা ভারতকে ‘গ্লোবাল সাউথ’ এর কণ্ঠস্বর হিসেবে বিবেচনা করে। শনিবার (২৬ আগস্ট) ভারতের এনডিটিভি আয়োজিত ‘এনডিটিভি জি-২০ কনক্লেভে’ তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশে ভারতের হাই কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাওয়া শ্রিংলা বলেন, উন্নত দেশগুলো ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যস্ত থাকায় ভারত খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ে ‘গ্লোবাল সাউথ’ এর উদ্বেগ দেখেছে। যে কারণে ভারতের জি-২০ প্রেসিডেন্সি তাঁদের কাছে এখন আশার আলো।
শ্রিংলা বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর বিষয়ে আমাদের অবস্থান সব সময় একই এবং আমরা এসসিও এবং ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে এই বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমরা চাই, বিশ্ব ব্যবস্থা আরও বেশি প্রতিনিধিত্বমূলক হোক। ব্রিকস সম্মেলনে আমাদের অংশীদাররাও নিরাপত্তা পরিষদে আরও প্রতিনিধিত্বের জন্য সম্মত হয়েছে।
তিনি বলেন, কোভিড মহামারির পরে এবং চলমান ইউক্রেনের যুদ্ধের মধ্যে এক কঠিন সময়ে ভারত জি-২০-এর প্রেসিডেন্সি গ্রহণ করেছে। এই দুটি ঘটনার প্রভাব সারা বিশ্বে অনুভূত হয়েছে, বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথে। আমাদের মনে রাখতে হবে, জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা উচিত। কিন্তু প্রতিনিধিত্বের অভাবে তাঁরা যথাযথভাবে কাজ করতে পারছে না। জি-২০-এর মতো ছোট গ্রুপ, যেখানে ভালো প্রতিনিধিত্ব রয়েছে, তাঁরা অনেকক্ষেত্রে কার্যকর হয়েছে। চ্যালেঞ্জগুলোর সমাধান দেওয়ার জন্য এটি একটি বড় সুযোগ। অনেক দেশের জন্য ভারতের প্রেসিডেন্সি এখন আশার আলো। তিনি জানান, ভারতের জি-২০ প্রেসিডেন্সি হবে অনন্য। আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনের ফল হবে গুরুত্বপূর্ণ এবং কর্মমুখী।
প্রসঙ্গত, আগামী ৯-১০ সেপ্টেম্বর ভারতে জি-২০ বা গ্রুপ অব ২০-এর শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। জি-২০ হলো— একটি আন্তঃসরকারি ফোরাম যা ১৯টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। আন্তর্জাতিক আর্থিক স্থিতিশীলতা, জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন এবং টেকসই উন্নয়নের মতো বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত প্রধান সমস্যাগুলো মোকাবিলায় কাজ করে এটি।